নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির মা আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের ভাষ্য, রাতে ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে কর্মস্থল থেকে ফিরে শামীম আহম্মেদ তার সন্তানের মরদেহ বিছানায় এবং স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় টয়লেটে পান। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের এক কক্ষে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। নিহত শিশুর নাম সামিয়া আক্তার সোহা। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তার মা উর্মি আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানায় পুলিশ।
প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের বরাতে ঘটনাস্থলে যাওয়া উপপরিদর্শক বিএম মেহেদী হাসান বলেন, শামীম আহম্মেদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। গতরাতে তার নাইট ডিউটি ছিল। সকালে বাড়ি ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই অবস্থা দেখতে পান।
নিহত শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, টয়লেট থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ছুরিতেই শিশুর মা আহত হয়েছেন বলে ধারণা করছি। বাড়ির মালিক মোহসীন বেপারী বলেন, বাড়ির নির্মাণকাজ এখনও বাকি আছে। চলতি মাসের শুরুতে বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন শামীম আহম্মেদ। কক্ষের ভেতরেই অ্যাটাচ বাথরুম ছিল।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, শিশুর স্বজনদের ভাষ্য, শিশুটি অসুস্থ ছিল। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে, শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।