নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে রোকসানা (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় সোহাগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ২৯ জানুয়ারি দুপুরে প্রেস কনফারেন্সে’র মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ টি হোসেন রোড এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মো. শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশ প্রথমে সোহাগের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। পরে তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে রোকসানাকে অপহরণ করে নিজ বাসায় নিয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ধর্ষণ ও নির্মমভাবে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পরে নিহত রোকসানার হাত পা-বেঁধে বস্তায় ভরে একটি ব্যাটারিচালিত আটো রিকসায় করে সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক চর এলাকায় ব্রীজের নিচে ফেলে দিয়ে আসার কথাও জিজ্ঞাসাবাদে জানায় সোহাগ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহাগের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল আরামবাগ এলাকায় গোদনাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী রোকাসানাকে নিজ বাসা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় সোহাগ। পরদিন তার পরিবারের কাছে মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় রোকসানার বাবা আশরাফুল মিয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। অপরহরণের তিনদিন পর ২৬ জানুয়ারি সকালে সোনারগাঁ থানা পুলিশ রোকসানার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। চার ভাই-বোনের মধ্যে রোকসানা ছিল সবার ছোট। বড় বোন আরমিনার বান্ধবী সাবিনা ইয়াছমিন পাখির স্বামী পরিচয়ে সোহাগ নিহতের বাড়িতে যাতায়াত করত।