নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সিদ্ধিরগঞ্জে একটি গার্মেন্টে শ্রমিক ছাটাইকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিল পাড়া মুনলাক্স কম্পোজিট নীট গার্মেন্টে লিমিটেড নামে একটি গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, সকালে আমিনুল নামে ওই গার্মেন্টের অপারেটরকে বিনা নোটিশে ছাটাই করে কর্তৃপক্ষ। এর জের ধরে সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিক আমিনুলের সহকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গার্মেন্টসে ভাঙচুর চালায়। এতে গার্মেন্টটির জিএম মনির ও দুই শ্রমিক আহত হন। আহত তিনজনের মধ্যে দুইজনকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গার্মেন্টের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় গার্মেন্টের অফিসকক্ষ, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কক্ষ ও কনফারেন্স রুম ভাঙচুর করেন।
শ্রমিকরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই সকালে কাজে যোগদানের পর শ্রমিক ছাটাই শুরু করে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। এতে শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানালে তাদেরকে মারধর করে মালিকপক্ষের লোকজন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরাও প্রতিরোধ করলে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন।
গার্মেন্টের মালিক মহিউদ্দিন জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গার্মেন্টে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে গার্মেন্টের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
বিনা নোটিশে শ্রমিক ছাটাইয়ের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ওই শ্রমিক স্বেচ্ছায় এ মাসের পর চাকরি করবেন না বলে জানানোর পর তার পাওনাদি আমরা তাকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সে পাওনাদি পাওয়া সত্ত্বেও আরো ২৫-৩০ জনকে অগ্রিম তিন মাসের পাওনা নিয়ে বের হয়ে যেতে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন। আমরা তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা ভাংচুর করেন এবং জিএমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় চার কর্মকর্তা আহত হন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, গার্মেন্টে বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। মালিকপক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে না নিলে এবং শ্রমিকরা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।