নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের ২সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১। এ সময় পাচারের শিকার ২২ বছর বয়সী এক যুবতী উদ্ধার করা হয়। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১১ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন স্বাক্ষরিত প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। আটককৃতরা হলো, শেফালী বেগম (৫০) ও মামুন (৩৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকায় শরিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যে শেফালী বেগম (৫০) কে আটক করা হয়। পরে শেফালী বেগমের স্বীকারোক্তি ও ভিকটিমের জবানবন্দী অনুযায়ী কদমতলী এলাকা হতে মামুন (৩৫) নামের মানব পাচারকারী চক্রের আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। শেফালী বেগম দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ফ্যামিলি বাসার ছদ্মবেশে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা করে আসছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে যুবতী মেয়েদের অধিক বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত করে নিয়ে এসে জিম্মি করে জোরপূর্বক অসামাজিক (পতিতাবৃত্তি) কাজে ব্যবহার করত। তাছাড়া তার অধীনে অনেক যৌনকর্মী ও খদ্দের রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মামুন তার একজন নিয়মিত খদ্দের। পরিচয়ের সূত্রে মামুন উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে অধিক বেতনে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে ভিকটিমকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে রাখে।
মামুন হোটেল কক্ষে জোরপূর্বক ভিকটিমের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। পরে চাকুরী দেয়ার নামে প্রতারণা করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিমকে শেফালি বেগমের হাতে তুলে দেয়। শেফালি বেগম ভিকটিমকে তার বাসায় জিম্মি ও মারধর করে নিয়মিত খদ্দেরদের সাথে অসামাজিক কাজে বাধ্য করত।
গ্রেফতারকৃত শেফালি বেগম ও মামুনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।