নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সিদ্ধিরগঞ্জে র্দূধর্ষ অস্ত্রধারি ক্যাডার,পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ,একাধিক মামলার আসামী ও সাত খুনের মামলা থেকে পুলিশের তদন্তে অব্যাহতি পাওয়ার আশিক বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন আশিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার গবীর রাতে নাসিক ২ নং ওয়ার্ড মিজমিজি চৌধুরীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত আশিক মিজমিজি চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃতঃ জহির উদ্দিনের ছেলে। সে সাত খুনের প্রধান আসামী নুর হোসেনের আত্মীয়। সাত খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর আশিক বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেন। তার পর থেকেই থানা আওয়ামীলীগের সাধানর সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার অবৈধ কর্মকান্ডের প্রধান সেনাপতি দায়ীত্ব নেন।
এদিকে আশিক গ্রেপ্তারের খবরে মিজমিজি, সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, মৌচাক, আবদুল আলীপুল, মালেক মেম্বারের পুল, হাজেরা মার্কেট, ধুনু হাজী রোড এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরন করেছে। তারা আশিক বাহিনীর প্রধান আশিকের ফাঁসি দাবি করেছে।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন আশিক হত্যা, ডাকাতী, চাদাঁবাজি, ছিনতাই, মারামারি, দাঙ্গা, বিস্ফোরন সহ একাধিক মামলার আসামী। তার অত্যাচারের মিজমিজি, সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, মৌচাক, আবদুল আলীপুল, মালেক মেম্বারের পুল, হাজেরা মার্কেট, ধুনু হাজী রোড এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার অবৈধ কর্মকান্ডে প্রধান সেনাপতির দায়ীত্বে ছিলেন। তার আশিক বাহিনী নামে একটি বাহিনী রয়েছে। যাদের দিয়ে এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতী, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র আদানপ্রদান,ভাড়ায় মারামারি করিয়ে থাকেন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও সে ছিলো ধরাছোয়ার বাহিরে।
এদিকে আশিক গ্রেপ্তার হওয়ার এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে মূখ খুলতে শুরু করেছে। নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে একাধিক ব্যাক্তি জানান, বিএনপির আমলে আশিক এলাকায় এমন কোন অবৈধ কাজ নাই, যা সে করেনি। তার ভয়ে আমরা মহল্লাবাসী আতংঙ্কে থাকতাম। সে টাকার জন্য বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করে। সে মামলায় আশিক সাজাপ্রাপ্ত আাসামী। সাত খুনের মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আওয়ামীলীগের আমলে বিএনপির গুপ্তচরবৃত্তি রাজনীতি করে থানা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক পদটি বাগিয়ে নেয়। তার পর সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সাকেব সাধারন সম্পাদক ও নাসিক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম সহ ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় ৬নং আসামী হয়ে এলাকা থেকে বিতারিত হয়। পুলিশের তদন্তে এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে পিট বাচাঁতে ও মামলা হামলা রক্ষার জন্য এবং এলাকায় আধিপ্ত্য বিস্তার করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের প্রধান সেনাপতির দায়ীত্ব গ্রহন করে। তার পর আশিকের নির্দেশে হাজী বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় বিচরন করে। বিভিন্ন বাড়িতে ও কারখানায় চাদাঁবাজি করে থাকে। কান্দাপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবিরের বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করলে আশিকের নেতৃত্বে আশিক বাহিনীর সদস্যরা হামলা করে নগদ টাকা ও লেবারদের মারধর করে। এঘটনায় হুমায়ন কবির আশিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন। তাই আমরা আশিকের ফাঁসি দাবি করছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুঃ সরাফত উল্লাহ আশিককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যে যতবড় ব্যাক্তির লোক হোক,সিদ্ধিরগঞ্জে কোন চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী থাকবেনা। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পুলিশের অব্যাহত থাকবে।