নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও রোড এলাকায় মেঘনা ডিপোর পেছনে একটি চোরাই জ্বালানী তেলের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের সময় মজুদকৃত তেলের ড্রামগুলো ব্লাষ্ট হয়ে পার্শবর্তী তিনটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় এলাকায় ও ডিপোর ভেতর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে একজনের শরীরের বেশীর ভাড় জলসে গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদশীরা। ২২ মার্চ দুপুরে সোমবার মেঘনা ডিপোর পেছনে চোরাই জ্বালানী তেল ব্যবসায়ি ফিরোজের মালিকাধানী গোডাউনে ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে ডিপোর ভেতরে সংরক্ষিত পানি না থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই গোডাউনে অবৈধভাবে অকটেন, পেট্রোল–ডিজেল, মবিলসহ বিভিন্ন রকম জ্বালানি তেল মজুদ ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, আগুনের ভয়াবহতায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আদমজী ইপিডেজের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আধা ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ট্যাংকলড়ীর জ্যামের কারণে বিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌছে। তবে মেঘনা ডিপোর ভেতর রিজার্ভ (সংরক্ষিত) পানি দিয়ে আতুন নেভানো কাজ করা হয়। ফলে স্থানীয়রা আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। ডিপোর ভেতর আগুনের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে পানি ব্যবহার করা যায় তাই এই পানি সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। ওই পানি না থাকলে আগুনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। কারণ অগ্নিকান্ড সংগঠতি হওয়া গোডাউন থেকে ডিপো দুরুত্ব ২০ থেকে ৩০ গজ।
আদমজী ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন মোল্লা জানান, হঠাৎ গোডাউনে আগুন লেগে পাশের তিনটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের তিনটি ইউনিট প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসতে সক্ষম হয়। তিনি আরও বলেন, তদন্ত ছাড়া আগুনের সুত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা যাবে না।