নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ পুলিশের এ এস আই সালাউদ্দিনকে আটক করেছে র্যাব-১১। এসময় মাদক বিক্রির ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা, প্রাইভেটকার ও ডি বি পুলিশের জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৌচাক এলাকার কোরবানির হাট থেকে র্যাব-১১ এএসপি নাজমুল হাসান তাকে আটক করেন।
র্যাব-১১ এর পুলিশ সুপার নাজমুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব বেশ কিছুদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এর আগে গত ২৩ জুলাই (সোমবার) র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এই বরখাস্তকৃত এএসআই সালাউদ্দিনের সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বাসায় তল্লাশী চালিয়ে ৫ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৯ লাখ ৪০০ টাকা উদ্ধার করে। ওই সময় সালাউদ্দিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার সহযোগী সুমনকে (২৫) গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে র্যাব চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় ও সালাউদ্দিনের উপর নজরদারীসহ তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রাখে। গ্রেফতারকৃত সুমনের তথ্যনুসারে র্যাব ওই দিনই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় ফ্রেন্ডস টাওয়ার ও সদর থানার নগরখানপুর এলাকায় ডিবির বরখাস্তকৃত এএসআই সালাউদ্দিনের দুইটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই ৫ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৯ লাখ ৪০০ টাকা উদ্ধার করে।
এদিকে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রায় ৮ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে বরখাস্ত হন এএসআই সালাউদ্দিন । এরপর থেকে সালাউদ্দিন পলাতক। পলাতক হলেও সে এখনো নারায়ণগঞ্জ ডিবির অফিসার পরিচয় দিয়ে সবখানে চলে। স্থানীয় লোকজন তাকে সালাউদ্দিন স্যার ও ডিবি স্যার হিসেবে চিনে। ইতোমধ্যে সে মাদক ব্যবসা করে অগাধ অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে। নিজ মালিকানাধীন ৩টা প্রাইভেটকার রয়েছে যেগুলো ইয়াবা পরিবহন ও সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়। জাসিম, ওসমান ও বাহাদুর নামের তিনজন ব্যক্তিগত ড্রাইভারও আছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে রয়েছে জেন্টস পার্লার নামক বিউটি পার্লার। মাদক ব্যবসার আর্থিক হিসাব দেখাশোনার জন্য রয়েছে রয়েছে ব্যক্তিগত সহকারি। গ্রেফতারকৃত সুমন বেতনভোগী কর্মচারি হিসেবে দীর্ঘদিন সহকারির দায়িত্ব পালন করে আসছে।
জাসিম, ওসমান ও বাহাদুর প্রাইভেটকারে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন মাদক স্পটে নিয়মিত ইয়াবা পৌঁছে দেয়। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সুমন সালাউদ্দিনের নির্দেশ মতে ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং ও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে কক্সবাজারের ইয়াবা সরবরাহকারীদের কাছে নিয়মিত টাকা পাঠিয়ে থাকে।
ওই সময় র্যাব জানায়, বরখাস্তকৃত এএসআই সালাউদ্দিন পুলিশের ডিউটির ধরণ, মাদক বিরোধী অভিযানের পদ্ধতিসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কর্মকৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই মাদক ব্যবসা করে আসছে।