নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটের নদভী জুয়েলার্স ও ক্রাউন জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনার ডাকাতদলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ । গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শামীম (৩৫), রাজা মিয়া (৪৮), শ্রীকান্ত বাদল মল্লিক ওরফে বাদল দাস (৫৫), মাসুদ (৪০) ও কালাম (৪২)।
বুধবার (৩০ মে) রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরআগে গত ২৬ মে ডেমরার কোনাপাড়া এলাকা থেকে চোরাই স্বর্ণালংকারসহ কাউসার মাস্টার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কাউসার মাস্টার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর নানা তত্য দেয়। তার তথ্যমতে এই ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১০ মার্চ গ্রেপ্তারকৃত শামীমের পরিকল্পনায় দুই মাসের প্রস্তুতি নিয়ে সংঘবদ্ধ জুয়েলারী ডাকাত চক্রটি হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটে দুটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করে। পরিকল্পনামতে ডাকাত চক্রের সদস্য কালাম, খালিদ ও মাসুদ ভূয়া নাম ঠিকানা দিয়ে মার্কেটে নৈশ প্রহরীর চাকুরী নেয়। রাতে বাকী নৈশ প্রহরীদের শরবতের সঙ্গে নেশা জাতীয় ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে মার্কেটের সিসি ক্যামেরার লাইন কেটে দেয়। তারপর ডাকাত চক্রের তালা ভাঙ্গায় পারদর্শী ও ভল্ট আনলক স্পেশালিষ্ট রাজা মিয়া ও বাদল মল্লিক মার্কেটে প্রবেশ করে। ক্রাউন ও নদভী জুয়েলার্সের তালা কেটে ও ভল্ট খুলে দোকানের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে। ডাকাত চক্র মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে হাসাড়া এলাকায় রাজা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার ও টাকা ভাগাভাগি করে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শামীম, রাজা মিয়া ও বাদল মল্লিক দেশের অন্যতম শীর্ষ পেশাদার ব্যাংক ও জুয়েলারী ডাকাত। এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বহু চাঞ্চল্যকর ব্যাংক ও জুয়েলারি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। ২০১৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর শামীম, রাজা মিয়া ও বাদল মল্লিক চক্র জয়পুরহাটে ব্র্যাংক ব্যাংক ডাকাতি করে ভল্ট খুলে ১ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে র্যাবের অভিযানে লুটের টাকাসহ শামীম, রাজা মিয়া ও বাদল মল্লিকসহ অনেকে গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারের ১১ মাস পর জামিনে বের হয়ে পূনরায় তারা তাদের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে থাকে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ মাচ সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোডে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটে ২টি জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি করে ৪৫৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লক্ষ টাকা লুট করে। তাদের পরবর্তী টার্গেট ছিল চট্টগ্রামের লাকী প্লাজা ও সিঙ্গাপুর মার্কেট। তাদের গ্রুপে ১০/১২ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে।