নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। তাদের কাছ থেকে ভূয়া চাকুরীর বিজ্ঞাপন, ভূক্তভোগীদের থেকে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকুরী প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও মোবাইল জব্দ করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগং রোড় এলাকায় হাজী রজব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ৩টা ৪২ মিনিটে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৪৫), লিয়াকত হোসেন খান (৫৬), মো. মাজিদুল ইসলাম (৪৩), মো. আফছার উদ্দিন সেলিম (২৮)।
র্যাব জানায়, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগং রোড় এলাকায় হাজী রজব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা গত প্রায় এক বছর যাবৎ জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নামের আড়ালে এই প্রতারক চক্র ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে বিভিন্ন পদে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে শতশত যুবক-যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল টাইম-পার্ট টাইম চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
এই প্রতারক চক্রটি ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে রেজিষ্টেশন ফি হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫২০ টাকা করে নিত। পরে চাকুরীর নিশ্চয়তা ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে পলিসি খুলতে বাধ্য করত। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ১৮৫০০ হতে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্সুরেন্স খুলতে প্রলুদ্দ করত। চাকুরী পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয় ভীতি, হুমকি এমনকি মারধরও করত।
র্যাব আরো জানায়, বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল চিটাগাং রোড এলাকায় হাজী রজব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. মনিরুজ্জানসহ লিয়াকত হোসেন রনি, মাজিদুল ইসলাম ও আফসার উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
