নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসমাইল মিয়া। তিনি অত্যন্ত ভালো এবং শান্তি প্রিয় মানুষ ছিলেন। সমাজে অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতেন। দেশ স্বাধীন করতে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন সৎ, সাহসী ও প্রতিবাদি ইসমাইল মিয়া। বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমাইল মিয়াকে এলাকার সকলেই সম্মান ও শ্রদ্ধা করতো। এলাকায় তাঁর সুনাম ও খ্যাতি অনেক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল মিয়ার একমাত্র আদরের ছেলে সন্তান রকিবুল ইসলাম ইমন (৩৮)। এলাকায় পিতার খ্যাতি ও নাম ডাক থাকায় যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াতো। যার অভিযোগে এসে পরতো পিতা মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল মিয়ার কাছে। তবে তিনিও নিজ পুত্র ইমনকে নিয়ন্ত্রণ করতে একপ্রকার ব্যর্থ হন। এক পর্যায় ইমন মাদক (ফেন্সিডিল) সেবন করতে শুরু করে। পরবর্তীতে মাদক সেবনের পাশাপাশি ফেন্সিডিলের ব্যবসা শুরু করে। এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করতে থাকে মাদক ব্যবসায়ী ইমন। যার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
এই মাদক ব্যবসা ও সেবনের সূত্রে ইমনের সাথে পরিচয় হয় সিহাবের। এক পর্যায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। যার ফলে তার অপরাধের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। আর এই সিহাবের মাধ্যমেই মাদক ব্যবসায়ী ইমনের সাথে পরিচয় হয় নারায়ণগঞ্জের দুর্র্ধষ কিলার, ডাকাত ও শীর্ষ মাদক বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে মাস্টার দেলু। যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্রবাজি, খুন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপরে হামলা, মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধে দু’ডজন মামলা রয়েছে।
মাস্টার দেলুর সাথে যোগদানের পর ইমন তার অপরাধ জগতের আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। প্রায় সময়ই মাস্টার দেলুকে নিয়ে ইমন তার নিজ বাড়িতে নির্ধারিত জলসা ঘরে মাদক সেবন, মাদক বিক্রয়, অস্ত্র রাখা, ডাকাতির পরিকল্পনাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকতো। মাস্টার দেলু তার অপরাধ জগতের পরিকল্পনা ও মাদক ব্যবাসার ডিল ইমনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েই সম্পন্ন করতো।
এই ইমনের বাড়িতেই ইমনসহ মাস্টার দেলু তাদের অবৈধ কাজে আড্ডারত অবস্থায় র্যাব-১১ মধ্য রাতে অভিযান চালায়। ওই অভিযানে র্যাবের সাতে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদকের ডিলার মাস্টার দেলু। এসময় র্যাব সেখান থেকে বিপুল পরিমান মাদক, অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধার করে।
তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইমন ক্ষমতাধর প্রভাবশালীর আত্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বেঁচে যায়। এঘটনার পর ইমন দীর্ঘদিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকলে অপরাধ জগত চক্রের সাথে সর্বদা তার যোগাযোগ বহাল ছিলো।
(ইমনের বিস্তারিত আরও সংবাদ পড়তে চোখ রাখুন।)