নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্দিরগঞ্জ প্রতিনিধি) : সিদ্ধিরগঞ্জে তান্যিমুল উম্মাহ হিফজুল মাদ্রাসায় আশিকুর রহমান সিয়াম (৮) নামে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৭ টায় আটি ওবায়দা কলোনী এলাকায় হাবিবুল্লাহ ভবনের সামনে শিশুটিকে নিথরভাবে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে তারা ওই ভবনের ৬তলায় থাকা মাদ্রাসার শিক্ষকদের খবর দিলে এলাকাবসীসহ ছাত্রটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য ডাক্তার মেহেদি হাসান ছাত্রটিকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত সিয়াম পাঠানটুলি কুমিল্লা পট্টি এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। সে ২ বছর যাবত এ মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হিসাবে অধ্যয়নরত ছিলো। এদিকে পরিবারের দাবি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ সিয়ারমে হত্যা করেছে। তবে মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন সিয়াম ছাদ থেকে পরে মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় নিহতের পরিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু. সরাফত উল্লাহকে হত্যাকান্ডের ঘটনা জানালেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেছে পরিবারটি।
নিহত সিয়ামরে বাবা লুৎফর রহমান জানান, রোবরার সকালে ছেলে সিয়ামকে মাদ্রাসার দিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানায় সিয়াম অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসে দেখি আমার ছেলে মৃত। মাদ্রাসার লোকজন আমার ছেলেকে ছেলে হত্যা করেছে। আমি বিচার চাই।
এদিকে মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭ টার দিকে এক জন পথচারি সিয়ামকে নিয়ে এসে বলে এ ছাত্রটি আপনাদের। আমরা সিয়ামকে দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাঃ সিয়ামকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। তবে কিভাবে সিয়ামের মৃত্যু হয়েছে তা আমরা বলতে পারবনা। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।
নিহত সিয়ামের খালা ফাহিমা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে জানিয়েছি। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে লাশ নিয়ে পুলিশের অপেক্ষায় থাকলেও কোনো পুলিশ আসেনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুঃ সরাফাত উল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে পুলিশ খোঁজ নিয়েছে। তবে এঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।