সিটি করপোরেশনের ড্রেনের কাজের জন্য ১৮ কোটি টাকার কাজ বন্ধ : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার  ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, সিটি করপোরেশনের ছোট্ট একটা ড্রেনের কাজ করতে ৬ মাস লাগে। এ কাজের জন্য আমার ১৮ কোটি টাকার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। হাজার হাজার মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই সড়কে যানজটে বসে থাকতে হবে কেন? এমপি হওয়াটা বড় ব্যাপার না, মানুষের কষ্ট লাঘব হওয়াটাই বড়। ২৯ জুলাই রবিবার বিকেলে শহরের ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা স্মৃতি পাঠাগার ও বিজ্ঞানাগার উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডিএনডি প্রজেক্ট পাশ করেছি, জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছি, র্পালামেন্টে কথা বলেছি। একদিকে আল্লাহর রহমত বৃষ্টি হচ্ছে পানি সরানেরা কাজও হচ্ছে। আশা করি আগামী বর্ষা মৌসুমে পানি থাকবেনা। আমি এখানে বসে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলেছি। জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমি আমার জনগনকে কি বলবো। আমি তো ঢাকা থেকে পার্লামেন্টে কথা বলে টাকা বরাদ্দ আনলাম। নির্বাচন আবার করবো কি করবোনা এটা পরের কথা। আগামীকাল বাঁচি কিনা ঠিক নাই। আমি মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আমি কোন সন্ত্রাসী চাইনা, কোন মাদক ব্যবসায়ীর ছাড় নাই আমার কাছে। অন্যায় করলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। যুবকদের বলবো আমার বিরুদ্ধে কথা বলো তোমরা সকল অন্যায়ের প্রতিরোধ কর।

ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রশ্ন করেন, কেন রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা হয়? কেন ঢাকা লিংক রোডে হাটার সময় নাকে রুমাল দিয়ে হাটতে হয়। রাস্তায় পানি কেন জমে থাকবে। আমি আর সি সি রাস্তা করলাম এখানে পানি জমে থাকে। এ দেশ কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি না।

এমপি শামীম ওসমান বলেন, আমি ৭১০২ কোটি টাকার কাজ করেছি। ঢাকা-নারায়াণগঞ্জ লিংক রোডে ১৪ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছি। কারণ রাস্তা নষ্ট হতেই পারে। তারপর ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ করলাম। টাকা কারো বাপের না এটা জনগনের টাকা। মানুষের হাত পা ধরে টাকা আনতে হয়। অন্যান্য মন্ত্রী পেয়েছে ২৫ কোটি করে আমি আনলাম ৮৫ কোটি টাকা অনেক কাজ করে। ৪১ টি রাস্তার কাজ। তারপরও বলে এখানে রাস্তার অনুমোদন নাই নাম নাই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, মহনগরের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য মো. কাশেম, ইসদাইর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা লুৎফর আহম্মেদ খাঁন, সমাজ সেবক মো. সোহাগ প্রমুখ।

add-content

আরও খবর

পঠিত