সাংবাদিক পরিচয়দানকারী টিপুর- নারী দিয়ে যুবসমাজকে প্রতারণার ফাদেঁ ফেলার দীর্ঘদিনের ইতিহাস

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : সাংবাদিকতার আড়ালে প্রতারক চক্রের  অন্যতম সদস্য মিরাজ হোসেন টিপুর রয়েছে নারী দিয়ে যুবসমাজকে প্রতারণার ফাদেঁ ফেলার দীর্ঘদিনের ইতিহাস। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে নানারকম অপকর্ম। সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ অনেকেই যারা টিপুর এ সমস্ত কু-কীর্তির সম্পর্কে অবগত আছেন তারা তাকে ঘৃণার চোখেই দেখে। মেঘনা লাইমস্ এর মালিক জহিরের দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগম এবং সুমিলপাড়া এলাকার মালেশিয়া প্রবাসি স্বপন মিয়ার স্ত্রী মনি আক্তারের সাথে তার রয়েছে অনৈতিক সম্পর্ক। বর্তমানে টিপু মনি আক্তার (৩৮) ও তার সুন্দরী মেয়ে স্বপ্না আক্তার (২২) ওরফে তাহমীনা আক্তার সিমীকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় অবাধে অনৈতিক কাজ করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার ভাগ নিচ্ছে।

তথ্য সূত্রে আরও জানা যায়, বিভিন্ন অনৈতিক এ সমস্ত অবৈধ কাজে যাতে কোন বাধার সম্মূখিন হতে না হয়, সে জন্য তাদেরকে ভূয়া সাংবাদিকতার কার্ড বানিয়ে দিয়েছে প্রতারক চক্রের  অন্যতম সদস্য এই টিপু। কৌশলে মনি আক্তারের মেয়ে স্বপ্না ওরফে সিমীকে দিয়ে প্রেমের অভিনয় করিয়ে বিয়ের ফাঁদে ফেলে অনেক ছেলেরই জীবন নষ্ট করেছে এই টিপু। কেউ যদি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাকে দেওয়া হয় নারী নির্যাতন মামলা।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে এই স্বপ্না আক্তার ওরফে সিমীকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জের এস.ও এলাকার অধিবাসী আলী আকবর এর ছেলে আল আমিন কে বিয়ে করতে বাধ্য করায় এই টিপু। তারপর পরিক্লপনা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দিয়ে আল আমিন এর কাছ থেকে আদায় করা হয় নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা। বর্তমানে এই মামলাটি এখনও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে চলমান অবস্থায় রয়েছে। যাহার নং-২১১/১৩।

এছাড়াও কিছুদিন আগে টিপুর সহায়তায় স্বপ্না আক্তার ওরফে সিমীকে দিয়ে প্রেমের অভিনয় করিয়ে প্রতারণার জালে আটকাতে চায় এক শিক্ষানবীস আইনজীবীকে। এরপর প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মুঠোফোনে এক র্বাতার মাধ্যমে ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে মিরাজ হোসেন টিপু। কিন্তু শিক্ষানবীস আইনজীবীর সামনে প্রতারকদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও দেয়া হয় নারী র্নিযাতন মামলা। যাহার মামলা নং ৪(৮)১৬। কিন্তু অজ্ঞতার কারনে  এই মামলায় স্বপ্না আক্তার ওরফে সিমীকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক উল্লেখ করা হয় যা রীতিমত আদালতপাড়ায় হাসি ঠাট্টার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

সূত্রমতে আরও জানা যায়, সর্বশেষ সিদ্ধিরগঞ্জে মাসুদের সাথে পরিকল্পিত ভাবে তথ্য গোপন করে কাবিন নামায় কুমারী উল্লেখ করে সাক্ষীতে সাক্ষর রয়েছে মিরাজ হোসেন টিপুর। সেই বহুল আলোচিত টিপুর সহযোগী স্বপ্নার সাথে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেনমোহর এ বিয়ে দেওয়া হয় যার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিল কথিত সাংবাদিক এই মিরাজ হোসেন টিপু। বিয়ের পর কাবিনের টাকা উদ্ধারের জন্য এখন সেই ছেলের পারিবারকে প্রতিনিয়ত মামলার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহারকারী প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য টিপুর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সমাজের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে চাদাঁবাজী, প্রতারনাসহ এখন সক্রিয়ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে যুবতী মেয়েদের দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের রমরমা দেহ ব্যবসা । খোজ নিয়ে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীণ চর সুমিল পাড়া ( বিহারী কলোনী, এস.ও ) এলাকার ইসমাঈল মাস্টারের ছেলে এই মিরাজ হোসেন টিপু। অপকর্মের খ্যাতনামা অর্জনে এস.ও এলাকায় তার সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে সবাই তাকে বাটপার টিপু নামে চিনে থাকে। অতি শিঘ্রই প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী ও ভোক্তভোগীরা।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত