নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের রফিকুল ইসলাম রফিক শহরের গত ২ দিন আগে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার হয়েছে। মাদকসহ রফিকুলের ওই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। রফিকুল ইসলাম রফিক মূলত বন্দর ১নং খেয়াঘাটস্থ কল্পনা খান মার্কেটে জেনারেটর কর্মচারী ছিল। জেনারেটরের মালিক ছিল খান মাসুদ। খান মাসুদ আসন্ন নাসিক নির্বাচনে ২২ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী। খান মাসুদ এমন একজন নেতা যে কোন দিন চিন্তা করেননি নির্বাচন করবে। তার সব সময় একটি ভাষ্য ছিল জনগনের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রয়োজন পরে না। যার প্রতিফলন হিসেবে ২০০১ সাল হতে খান মাসুদ দল, সংগঠন ও জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগনের সার্বিক অবস্থা উপলব্ধি পূর্বক ও সর্ব মহলের চাপের মুখে তিনি নির্বাচন করবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্শ্বানিত হয়ে একাধিক মহল দীর্ঘ দিন যাবত নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
যে রফিকুল শহরে মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে তাকে ঘটনার ৫ দিন পূর্বে খান মাসুদ জেনারেটর থেকে রফিকুলকে অব্যহতি দিয়েছে। যা খান মাসুদ নামের ফেসবুক আইডি দিয়ে রফিকুলের ছবি সম্বলিত প্রকাশ করে। রফিকুল বিষয়ে কেউ অতি উৎসাহিত না হয়ে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার আহবান জানান খান মাসুদ।
এ বিষয়ে খান মাসুদ বলেন, কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। রফিক নামের ছেলেটা আমার জেনারেটর সার্ভিসে একজন হেলপার হিসেবে কাজ করতো। ও একটু মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো, ওর পরিবার খুব নি¤œ আয়ের পরিবারের। ওর পরিবারের প্রতি দয়া হয়ে রফিককে আমার জেনারেটর সার্ভিসে চাকরিতে নেই। রফিকের অপকর্মের ব্যাপারে কিছুদিন পূর্বে আমার কাছে কিছু রিপোর্ট আসে। সে অপরাধের ভিত্তি করে রফিকে আমার জেনারেটর অফিস থেকে বের করে দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। আমার কাছে কোন অপরাধীর ছাড় নেই, সে আমার যত আপনই হোক।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন আগেই রফিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আমার খান মাসুদ ফেসবুক নিজ একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়েছি। একজন কর্মচারীকে কাজ থেকে অব্যহতি দেয়ার পরও কি তার অপরাধ আমাকেসহ বহন করতে হবে ? এটা কেমন ধরনের মনমানসিকতা বা সাংবাদিকতা।
সঠিক বিষয়টি অকপটে প্রকাশ করা সাংবাদিকদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু কাউকে অহেতুক টানাটানি বা জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করা কি সাংবাদিকতার কোন স্থটে পরে তা আমার জানা নেই। সাংবাদিকরা হল জাতির দর্পন বা আয়না। সেই আয়নায় সঠিক, সত্য বিষয়গুলো সাহসের সাথে তুলে ধরবে। যেখানে অন্যায়, অবিচার সেখানে সাংবাদিকদের কলম চলবে। সাংবাদিকদের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে দামি। সেই কালীকে অপব্যবহার কইরেন না।