সরকারি রাস্তার মাটি কেঁটে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনায় প্রাণনাশের হুমকি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁও প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়স্থ গজারিয়াপাড়া বাগান বাড়ী থেকে গণকবাড়ী মসজিদ পর্যন্ত নির্মানাধীন রাস্তার মাটি কেটে অন্যত্র সড়িয়ে নেবার অভিযোগ আনায় তাকে সহ স্থাণীয়দের প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন এবং ঠিক একই অভিযোগে স্থানীয়রা গত বছরের ২৪/১০/১৬ তারিখে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন বলে জানা গেছে। জিডি নম্বর ১৪৭৪/৩১.০১.১৭। থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয় যে, সাদিপুর ইউনিয়স্থ গজারিয়াপাড়া বাগান বাড়ী থেকে গণকবাড়ী মসজিদ পর্যন্ত সরকারি রাস্তার মধ্যবর্তী আফাজ উদ্দিনের পুকুরের দক্ষিণ পূর্ব কোনে সরকারী বরাদ্দকৃত উচু রাস্তার মাটি স্থানীয় গণকবাড়ীর মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে সুজলা করিম ও সুজলা করিমের ছেলে জজ মিয়া সঙ্গিয় কিছু লোকজন নিয়ে গত বছরের ১০/০৮/১৬ তারিখে অবৈধভাবে কেটে সরকারি রাস্তার আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়েছে এবং গাছের ডাল ও বাশের কঞ্চি দিয়ে বেড়া দিয়ে জনগণের চলাচলের বিঘœ ঘটানো হচ্ছে। উক্ত মর্মে উক্ত বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের যৌথস্বাক্ষরে গত বছর সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়। তখন নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় থেকে পাঠানো তদন্তকারী দল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন এবং সহকারি কমিশনার সোনারগাঁও কর্তৃক বিবাদীগণকে রাস্তা ভরাট করে দেবার ও বেড়া ভেঙ্গে দেয়ার নির্দেশ স্বরূপ ১২/০১/১৭ তারিখে নোটিশ জারি করা হয়। বিবাদীগণ উক্ত আদেশ অমান্য করে বাদী সহ যৌথ অভিযোকারীদের রাস্তাঘাটে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও সাধারণ ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে এবং বেড়া সরিয়ে রাস্তা ভরাট করার মাধ্যমে চলাচল সুগম করার নির্দেশ দিলেও বিবাদীরা ভ্রুক্ষেপ করছেনা এবং অভিযুক্তরা সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রশিদ মোল্লার লোক বলে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রশিদ মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সুজলা করিম আমার কর্মী একথা সত্য। কিন্তু আমি কথনও অন্যায়কে পশ্রয় দেইনা এবং আমার নামে কেউ প্রভাব বিস্তার করুক এধরনের ইন্ধনও কখনও আমি যোগাইনা। আমি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তার সমাধান করা হবে কিন্তু থানা পুলিশকে জানানোর প্রয়োজন ছিলনা।

সোনারগাঁও থানা পুলিশের এএসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এখনও তারা নির্দেশনা না মেনে থাকলে, তারা আইন অমান্য করেছেন। তবে আমি খুব দ্রুত বিষয়টি দেখছি।

add-content

আরও খবর

পঠিত