সবুজ বাংলা মাল্টিপারপাসের কোটি টাকা আত্মস্বাত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে সবুজ বাংলা মাল্টিপারপাস নামে একটি সমিতির বিরুদ্ধে কোটি  টাকা আত্মস্মাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সমিতির প্রতারণার শিকার হয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে এখানকার সহজ সরল কৃষকরা। ওই সমিতির প্রতারকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও টাকা ফেরত দেয়ার দাবিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেছেন। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ থানার সামনে প্রতারনার শিকার গ্রাহকরা এ কর্মসুচী পালন করেন।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, গত প্রায় ১০ বছর আগে রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাগবেড় এলাকায় সবুজ বাংলা মাল্টিপারপাস নামের একটি সমিতি গড়ে তুলেন স্থানীয় মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে যুবদল নেতা প্রতারক রুহুল আমিন। সমিতির নামে একটি ব্যাংক খোলা হয়। ব্যাংকে অধিক পরিমানের লাভ দেয়া হবে বলে স্থানীয় কৃষকদের আশ্বাস দেয়া হয়। এরপর কৃষকরা পুর্বাচল উপশহরের প্লট বিক্রিসহ আশ-পাশের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের কাছে জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রাখেন। কিন্তু ১০ বছর পার হলেও আসল পুজি পাচ্ছেনা কৃষকরা। কৃষকরা তাদের টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রতারক রুহুল আমিন। শত শত গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে নিজের অপরাধ ঢাকতে যুবদল নেতা থেকে যুবলীগ নেতা বনে গেছে। যুবলীগ নেতা বনে যাওয়ার পর থেকে রুহুল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হয়ে বিভিন্ন সময় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রবিবার সকালে থানার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেন। পুলিশ প্রশাসন ভুক্তভোগীদের টাকা ফিরিয়ে দেয়াসহ প্রতারক রুহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এমন আশ্বাস দেয়।

ইতিমধ্যে স্থানীয় নিশিকান্তের ৪ লাখ, আতাবরের ১ লাখ ২৪ হাজার, শহর আলীর ৫ লাখ, বাতেন মোল্লার ২ লাখ, নাবিয়ার ১ লাখ ৮০ হাজার, কামরুন্নাহারের ৫০ হাজার, সোনাবানুর ২ লাখ ২০ হাজার, রহিমার ২ লাখ, মিনারার ৪ লাখ ৭৫ হাজার, নিলুফার ৪ লাখ, প্রিয়াংকার ৫০ হাজার, শান্তিরঞ্জন ৮৫ হাজার, আনোয়ারা বেগম ২৫ হাজার টাকা আত্বসাতের অভিযোগে রূপগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা ও সাধারন ডায়েরী রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় বিষয়ক অফিসার হাফিজা বেগম বলেন, আমার কাছেও অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে সবুজ বাংলা মাল্টিপারপাস দায়িত্বরত কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে চাপ দেয়া হচ্ছে। চাপের মুখে পড়ে কিছু টাকা পরিশোধও করেছে। সকলের টাকা পরিশোধ না করলে আমাদের পক্ষ থেকেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত