নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ফাস্ট ফুডে বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশের সাথে যুবলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ডিবির ৭ কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে সাময়িক প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নেয়া হয়েছে। সোমবার (২৭ আগস্ট) এ ৮ জনকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। এরা হলেন- ডিবির পরিদর্ক মাসুদুর রহমান, এস আই মিজানুর রহমান ও আবু সায়েম, এএসআই আজিজুর রহমান, দেওয়ান তৌফিক, বকুল মিয়া, আমিনুল হক ও কনস্টেবল লুৎফর রহমান।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, ওই ঘটনাটি তদন্তের জন্য তাকে প্রধান করে একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। ইতোমধ্যে ৮জনকে সাময়িক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় যদি ডিবি পুলিশের কোন কর্মকর্তা দোষী প্রমানিত হয় তাহলে তাদের বিরোদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উলেখ্য, রবিবার (২৬ আগস্ট) রাতে শহরের খানপুর চৌরঙ্গি পার্ক সংলগ্ন মাই লাইফ ক্যাফে নামক ফাস্ট ফুডে এ বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশের সাথে যুবলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষকালে গুরুতর আহত হয়েছে ডিবি পুলিশের এস.আই মিজান, এস.আই সায়েম, এ.এস.আই আমিনুল ও এ.এস.আই বকুল। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ১শ শয্যা বিশিষ্ট (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এছাড়াও মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়েছে শেখ রাসেল শিশু কিশোর নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন (৪৮)। স্থানিয়রা তাকে খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে গুরুতর আহত তার স্ত্রী রীনা ইয়াসমীন মর্জিনা (৪৫) ও বড় ছেলে আল আমিন (২৬) ও ছোট ছেলে রবিন (২৬) কে খানপুর হাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত রীনা ইয়াসমীন মর্জিনা অভিয়োগ করে বলেন, রাত সাড়ে ৭টায় ডিবি পুলিশ বরফকল চৌরঙ্গি পার্ক সংলগ্ন আমাদের মাই লাইফ ক্যাফে ফাস্ট ফুডে লাচ্ছি খায়। এসময় খাওয়া শেষে বিল চাইলে আমাদের মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে বলে পুলিশের কাছে বিল চাস। তার পরে তাকে বিল দেয়ার জন্য পুণরায় বললে আমাদের গায়ে হাত দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জরো হলে। ডিবি পুলিশের এস.আই মিজান, এস.আই সায়েম, এ.এস.আই আমিনুল ও এ.এস.আই বকুল আরো ফোর্সকে আসার জন্য খবর দেয়। তারপর ডিবির আরো ২-৩ টি গাড়িতে করে ডিবি পুলিশ এসে আমাদেরকে তাদের হাতে থাকা বন্ধুক ও রুলার দিয়ে মারধর করতে থাকে।
এ ব্যপারে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) নূরে আলম জানায়, আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো। অন্যায়কারীকে পালতে যাবো কেন। ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।