নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : সন্ত্রাসী বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে শহরের হোসিয়ারি শ্রমিক সুমন (২৫) নিহতের ঘটনার ২ দিন পর অবশেষে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৫ই আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে নিহত হোসিয়ারি শ্রমিকের ছোট বোন সুর্বনা আক্তার রাজিয়া বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৫(৮)২১ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া শহরে একটি হোসিয়ারি কারখানাতে কাজ করত। এ সুবাদে সুমন মিয়া ফতুল্লা থানার দেওভোগ এলাকার জগৎ চন্দ্রের ছেলে প্রশান্তের সাথে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ই আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধু প্রশান্ত অপর বন্ধু হোসিয়ারি শ্রমিক সুমনকে বন্দর রুপালী এলাকায় ডেকে আনে। পরে প্রশান্ত সহ বন্দর থানার একরামপুর আকিজ সিমেন্টস্থ শরিফ মিয়ার ছেলে নাঈম ও বন্দর কাঠপট্রি এলাকার ছোট শাহজাহানসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে স্থানীয়রা মারাত্মক জখম অবস্থায় সুমনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতে সুমন মৃত্যু বরণ করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর পুলিশ ফাঁড়ী ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, হোসিয়ারী শ্রমিক সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট বোন বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ৩ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে। আমরা এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি।