শ্যামল কান্তির স্থায়ী জামিন, পরবর্তী তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনি এর স্থায়ী জামিন পান। এবং আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন আদালত। ২০১৬ সালে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলাটি করেন স্কুলের অপর শিক্ষক মোর্শেদা বেগম।

এ ব্যাপারে শ্যামল কান্তি ভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মামলার নির্ধারিত তারিখে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে আদালত আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেছেন। আমরা সুবিচারের আশায় আছি। শ্যামল কান্তি ভক্ত একজন শিক্ষক মানুষ, নিরাপরাধ। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্যই এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা করছি শ্যামল কান্তি এর সুষ্ঠু বিচার পাবেন। এর আগে ১৩ জুলাই মামলাটি বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ জুলাই এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মামলা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ৪ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে গত (২০১৭ সালের) ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এমপিওভুক্ত করে দেয়ার জন্য শ্যামল কান্তি ভক্তকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। এরপর আরো ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। পরে আরো ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু সে শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের এমপিওভুক্তের দরখাস্ত কোন স্থানেই প্রেরণ করেনি।

পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি ২০১৬ সালের ১২ মে কোন টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করেন। এবিষয়ে মোর্শেদা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর সহকারী কমিশনার ভূমি তদন্তও করেছেন। গত ২৪ মে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। সেদিন শ্যামল কান্তি আদালতে আত্মসমর্পন করলে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। এরপর গত ৩১ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানী শেষে আদালত তাকে জামিন দেন। গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগমের আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তকে অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত জামিন দেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত