শেখ হাসিনার দুর্বৃত্ত লালনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ত্বকী হত্যা রাব্বি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ :  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্বৃত্ত ও গডফাদারদের রক্ষাকারী ছিলেন’ বলে মন্তব্য করেছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার দুর্বৃত্ত লালনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ ত্বকী হত্যা। শামীম ওসমানের মতো নিজ দলের দুর্বৃত্ত, গডফাদারদের রক্ষা করতে সাড়ে ১১ বছর তিনি ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করে রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের মাধ্যমে মাফিয়াদের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তারা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। আজ তারা পালিয়ে গেছে, কিন্তু আবার নতুন দখলদার তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১৪৬ মাস উপলক্ষে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সিপিবির শহর সভাপতি আবদুল হাই শরীফ, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি মাহমুদ হোসেন ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা, সুবর্ণগ্রাম ফাউন্ডেশনের সভাপতি কবি শাহেদ কায়েস, বাসদের জেলা সংগঠক এসএম কাদির।

সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।

এ সময় ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি আরও বলেন, “শামীম ওসমানের সন্ত্রাসীরা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে যাচ্ছে। ওসমান পরিবার ও তাদের ক্যাডারাদের দখলে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নতুন দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে যাচ্ছে। নতুন নতুন চাঁদাবাজ, গডফাদার তৈরি হচ্ছে। সরকারকে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ত্বকী হত্যায় জড়িত সকলকে অভিযুক্ত করে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিলের দাবি জানিয়ে ত্বকীর পিতা বলেন, “কেউ যেন আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে, তা নিশ্চিৎ করতে হবে। সঠিক বিচার নিশ্চিৎ করে, তাদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।

মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, “শামীম ওসমান ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত বলেই এর বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখন বিচারটা কেন আটকে আছে? বাঁধাটা কোথায়? যদি অভিযোগপত্র দিতে না পারেন তবে পদত্যাগ করেন। বিচারতো করতেই হবে। আমরা বিচার চাইবোই, তা আদায় করে নেবো।”

২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

add-content

আরও খবর

পঠিত