নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে আমাদের অনেক ইতিহাস আছে। এসব জানতে হবে। আমি রাজনীতি করি অনেক আগে থেকে। রাজনৈতিক জীবনে কি না করেছি। এখনো বাদল ভাইয়ের সাথে রাজনৈতীক জীবনের অনেক কিছু মনে পড়ে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আর্মিকেও ছাড় দেইনি। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগার অডিটরিয়ামে একেএম শামসুজ্জোহার ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক এইচ এম রাসেল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি অ্যাড. আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটি মো. মেহেদী হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি বাদল ও জিএস হেলাল জুটি নিয়ে বর্তমান মহানগর আওয়ামীলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই খেলাধূলা পছন্দ করতাম। ট্রাকস্যুটও বেশ পড়া হত। আর্মিরা যখন হাটে তখন কিন্তু এক সাথে বোটের শব্দ হয়। অনেক আগের কথা, গতকাল আমার মনে পড়লো। একবার বাদল ভাইকে বললাম বাদল ভাই বাদল ভাই আর্মি আসছে। কারণ যদি আর্মিরা বাদল ভাইকে ধরে ফেলে। আর আমি জানতাম আমাকে ধরতে পারবে না। কারণ আমি আর্মির থেকেও ভালো স্পোর্টস ম্যান ছিলাম। এই জিনিসটা আমার মনে খুব আনন্দ দেয়। আমি বাদল ভাইকে বার বার বলে কনর্ফাম করেছি আপনাকে আর্মি ধরতে আসতেছে। পরে বাদল ভাই জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে চাষাঢ়ার ভিতর ডুকে গেছেন। তার মানে আমরা শেখ হাসিনার ডাকের বেলা আর্মিকেও ছাড়ি নাই।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সামিউল্লাহ মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মহাসচিব মো. সেলিম রেজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, প্রজন্ম জাতীয় সম্বনয় কমিটির জেলা আহবায়ক এনামুল হক ভূইয়া, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি ইশরাত জাহান স্মৃতি, বাংলাদেশ নিটিং ওর্নাস এসোসিয়েশন এর সভাপতি মো. সেলিম সারোয়ার, আবুল কালাম, পলিন, মাকসুদ।
জাকিরুল আলম হেলাল আরো বলেন, আমি রাজনীতি করি না। আমি যেটা করি সেটা কল্যাণ নীতি, ইসলাম নীতি করি। আরেকটা জিনিস করি, সেটা সম্পর্ক নীতি। আপনারা আমার কাছে যেকোন কাজে আসবেন। আমি পাশে থাকবো। এগুলো বাদল ভাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি। রক্তলাগে, দুস্থ মানুষের সাহায্য লাগে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এসব সাহায্য আমি করতে চেষ্টা করি। নিজের জন্য যে চাদরটা কিনি, সেটাই অন্যকে দেয়ার জন্য কিনি। এটাই ইসলামের নীতি।
এছাড়াও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ন আহবায়ক বাবুল মোল্লা, মহানগর কমিটির সভাপতি হামদান উর রহমান শান্ত, সহ-সভাপতি আজহারুল ইসলাম রবিন, সহ-সভাপতি অজিত কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম নবী মাসুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, সদস্য আলমগীর হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।