শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাহাতের সন্ত্রাসী তান্ডব !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর সংবাদাতা ) : নারায়ণগঞ্জের পুরান কোর্ট এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রাহাদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা লাঞ্চিত এড. রেজাউল করীম খান রেজা । ৫ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) দুপুর ২ টায় পুরান কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । রাহাতের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রেজাউল করিম খানের উপর চড়াও হয় ও তাকে লাঞ্চিত করে এবং তার অফিসের কম্পিউটার ভাংচুর ,সাইনবোর্ড ভাংচুর সহ তার আইনী পেশার সমস্ত নথিপত্র ছিড়ে ফেলে এবং কর্মচারীদের রের করে দিয়ে তালা মেরে দেয়। রাহাত বাহিনী সহ তার লোকজন রেজাউল করিম খানকে জীবন নাশের হুমকী প্রদান করে।

ঘটনাস্থলে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা সত্বেও রাহাত ও তার সহযোগীরা কোন প্রকার আইনী তোয়াকা না করে উল্টো ম্যাজিস্ট্রেটকে সাশিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অনেক লোক জমায়েত ছিল পরে টহল পুলিশের গাড়ি দেখে পালিয়ে যায় রাহাদ ও তার গ্যাং বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন , রাহাদ একজন চিহিুত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। মৃত, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রাহাত। আগে গলাচিপা এলাকাতে থাকত। ইদানিং মাদক ব্যবসা করে বিরাট টাকার মালিক বনে যান তাই সে পুরান কোর্ট এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি দোকানের মালিক বনে যান রাতারাতি । এবার চোখ পড়ল এড. রেজাউল করীম খান রেজার চেম্বারের দিকে যদি ঘরটি নেয়া যায় তবে পুরান কোর্ট এলাকার ব্যবসা হবে রাহাতের দখলে।

জানা যায় , পুরান কোর্ট এলাকার মসজিদ কমিটির কাছ থেকে এড.রেজাউল করীম খান ১৯৯৭ সালে একটি দোকান ঘড় ভাড়া নেন। এই ঘরটিতে তিনি তার আইনী পরামর্শের চেম্বার প্রতিস্থাপন করেন এবং দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ সুষ্ঠুভাবে আইনী পেশার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এড.রেজাউল করীম খান নোটারী পাবলিকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ইমিগ্রেশন ভিসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য বেশি পরিচিত ।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি দোকানের ভাড়া প্রতিবছর সময় মত দিয়ে আসছি, কোন দিন বিলম্ব হয়নি। প্রতি মাসের দোকান ভাড়ার রিসিট আমার কাছে আছে। আমার দোকানের ভাড়া সংগ্রহ করেন মসজিদের ইমাম সাহেব। কোন দিন দোকান ভাড়া বকেয়া পরেনি। কিন্তু মার্কেট কমিটি হঠাৎ করেই কিছু অবান্তর নোটিশ দাখিল করে যে, আপনার দোকানের ভাড়া বকেয়া রয়েছে এই মর্মে নোটিশ জারি করেন গত ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অত্র দোকান খানা ছাড়িয়া দিতে হবে। অবান্তর কিছু বকেয়া ভাড়া আদায় বাবদ বিনা নোটিশে ঘর খালি করার ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে আমি ডি.সি সাহেবের কাছে গিয়েছি ও আমার দরখাস্ত পেশ করেছি এবং বলেছি জানুয়ারী ২০২০ সাল পর্যন্ত আমার দেকান ঘরের কোন ভাড়া বকেয়া পরেনি। কিন্তু আমোকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আমার ঘড় অন্যের (রাহাতের) কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে । কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ডিসি সাহেব বলেন, আমার পদকে কোন প্রকার ছোট করতে পারবনা। আপনি অন্যত্র ঘর দেখেন। এটা কি করে সম্ভব আমি বর্তমান ভাড়াটিয়া আমাকে বিনা নোটিশে ঘর ছাড়ার হুমকী দেয় রাহাত ও তার বাহিনী। আমি বর্তমান ভাড়াটিয়া আমার সাথে কোন প্রকার পরামর্শ না করে অন্যায়ভাবে অন্যের কাছে দোকান ঘর ভাড়া দিলেন এটা কোন স্বভ্য সমাজের মানুষ সহ্য করবেনা। বিনা নোটিশে, বিনা বকেয়া ভাড়ার অভিযোগে, অন্যায়ভাবে, মিথ্যা, বানোয়াট সাজানো নাটকের প্রয়োগে আমাকে আমার চেম্বার ছাড়ার চক্রান্তের শিকার করছে রাহাত বাহিনী। আমার দোকান দখলের পায়তারা করছে রাহাত ও তার বাহিনী। এ কেমন সমাজ অন্যায়ভাবে আইনের চেম্বার দখল করতে চায় সন্ত্রাসীরা মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ও কি সম্ভব এ দেশে ? কোথায় গেল আইনের শাসন কোথায় গেল বিচার। তবে কি অন্যায়ের বিচার করবে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাহিনী।

এড. রেজাউল করীম খান রেজা আরো বলেন,  সবই ডিসি সাহেব জানেন কিন্তু পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন তা আমার বোধগম্য নয় ।বরং ডিসি সাহেব ডিপিডিসি কে দিয়ে বিদ্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । আমার অপরাধ কোথায় তা জানিনা । তবে স্বাধীন দেশে বিচার বিশ্লেষণ না করে জেলা প্রশাসকের এমন কর্মকান্ডে হতবাক ভোক্তভোগী এড. রেজাউল করীম খান রেজা । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

add-content

আরও খবর

পঠিত