নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শীতের সবজি ভরপুর থাকায় নগরীর বাজারগুলোতে দামও কিছুটা কমেছে। ফলে সবজি কিনতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গত মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে হঠাৎ করেই দাম বাড়ে বিভিন্ন শাক-সবজির। তখন শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশাই ছিলো ব্যবসায়ীদের প্রধান অযুহাত। কিন্তু এখন আবার সবজির দাম ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। ভোরের শুরুতেই ট্রাকে করে আসছে টনে টনে শীতকালীন নানা রকম সবজি।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সব থেকে বেশি দাম বাড়ে শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি, টমেটো ও শিমের। প্রায় দুই সপ্তাহ সবজিগুলোর দাম চড়া থাকে। তবে বর্তমানে এ সবজিগুলোর সবকটির দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া বড় আকারের ফুলকপির দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা।
পাতাকপির দামও আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আগের সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতাকপির দাম কমে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শিম পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরের মধ্যে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
সবজির এমন দামে স্বস্তি প্রকাশ করে বাজার করতে আসা গৃহিণী মাসুদা বলেন, কিছুদিন আগে তো সব সবজির দামই বেড়েছিল। আমরা মনে করছিলাম দাম আর কমবে না। তবে এখন দেখছি দাম কিছুটা কমেছে। সবজির দাম এমন থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সবজি খেয়ে কিছুটা শান্তি পাবে।
গত সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম (ওলকপি)। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে এ সবজি দু’টির দাম একই ছিল। কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ টাকার ওপরে।
প্রতিকেজি সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-১৫ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। সবজিতে স্বস্তি মিললেও ভোগাচ্ছে চাল, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসেনি কয়েকটি পন্য। তারা বলছেন, দাম কিছুটা কমেনি তা নয়, তবে স্বাভাবিক নয়। গতকাল নগরীর দিগু বাবুর বাজার, কালির বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া যায় এসব তথ্য।
এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেয়াজের দাম কিছুটা কমে। এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।