নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাটে শীতলক্ষ্যায় এমভি সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চকে ধাক্কা দেয়া সেই কার্গো জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে। ওই কর্গো জাহাজটি এস কে এল–৩ জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ থেকে এ সময় চালকসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পাগলা কোস্টগার্ড। আজ ৮ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুপুর দেড়টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে কার্গো জাহাজ সহ তাদের আটক করা হয়।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশমাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর দ্রুত কার্গো জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চলে যায়। সেখানে জাহাজটি রং বদলে ফেলা হয়। কার্গোটি গজারিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে কার্গো জাহাজ এসকেএল–৩ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় কার্গোটির চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে হতাহত হওয়ার ঘটনায় কার্গোর চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) বাবুলাল বৈদ্য। হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী কার্গোটি চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এমভি সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চকে ধাক্কা দেয়া ওই কর্গো জাহাজ এস কে এল–৩ জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে আটক করেছে আমাদের কোস্টগার্ড পাগলা ইউনিট। এর সাথে বেশ কয়েকজন স্টাফও আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ঠা এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছিল এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চটি। মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় সোয়া ৬টার দিকে এস কে এল–৩ নামে একটি কর্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এ সময় লঞ্চের দোতলা ও ছাদে থাকা যাত্রীদের একটি অংশ তীরে উঠতে পারলেও নিচ তলার যাত্রীরা পানিতে তলিয়ে যায়। এই ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।