শীতলক্ষ্যায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৩৫

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় রাফিত আল হাসান নামে মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫ই এপ্রিল সোমবার উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করার পর আজ ৬ই এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে ৫ই এপ্রিল সোমবার ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে নদীগর্ভ থেকে উঠিয়ে আনতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল। এরপর উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ পর্যন্ত আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়ালো।

উল্লেখ্য, ৪ঠা এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর সামনে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। এমভি রাবিতা আল হাসান নামে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টা ৫৬ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ঘটনার সময় নদীর তীর থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এসকে-৩ নামে একটি কার্গো জাহাজ বেপরোয়া গতিতে লঞ্চের পেছন দিকে সজোরো ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ঘটনার পর লঞ্চে থাকা বেশ কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।

ওই সময় নদীর ঘাট থেকে বেশ কিছু নৌকা ও ট্রলার গিয়ে ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পরপর ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেখানে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

এদিকে সোমবার পর্যন্ত ২৯ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ মহোদয়ের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) খাদিজা তাহেরা ববিকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রবিবার নারায়ণগঞ্জ লঞ্চঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে সাবিত আল হাসান। কিছুদূর যাবার পরে ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি। সৈয়দপুর এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর পাইলিং কাছে একটি কার্গো জাহাজ তাকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। লঞ্চ থেকে সাঁতরে কেউ কেউ উঠতে পারলেও অনেকেই লঞ্চের সাথেই তলিয়ে যায়।

এদিকে লঞ্চ ডুবির খবর পেয়ে যাত্রীদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। স্বজনদের কান্নায় ভারি শীতলক্ষ্যা পাড়। ওদিকে লঞ্চ ডুবির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.মোস্তাইন বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক প্রমুখ।

add-content

আরও খবর

পঠিত