শীতলক্ষ্যার পাড়ে এসে নিজেকে ধন্য মনে করছি : সেতু মন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিনিধি): নারায়ণগঞ্জকে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে আখ্যা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সকল আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ থেকে গড়ে উঠেছিলো।আর আজ এই শীতলক্ষ্যার পাড়ে এসে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ত্রিবোনী মিনারবাড়ি এলাকায় শামসুজ্জোহা মুসাপুর বন্দর (এম.বি) ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় উদ্বোধনের পর এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের মধ্যে এতো গুনের সমাহার তিনি হলেন নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। টাকা-পয়সা অনেকের কাছেই থাকে কিন্ত খরচ করার মনমানসিকতা থাকে না। সেলিম ওসমান নিজের পকেট থেকে ৩০ কোটি টাকা দিয়ে এই স্কুল ভবন তৈরি করেছেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। শিক্ষা জীবিকার জন্য নয়, শিক্ষা হচ্ছে জীবনের জন্য। পরীক্ষায় পাশ করার শিক্ষা নয়, আমরা সত্যিকারের শিক্ষার্থী চাই। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে যারা আজকে শিক্ষার ১২টা বাজায় তারা দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। এসকল শত্রুদের মেরুদন্ড ভেঙে দিতে হবে। যারা আমাদের মেধাবীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে তাদের ধংস করে দিতে হবে।

বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির জেলার সভাপতি আবু জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সানোয়ার হোসেন সানু, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সত্যকে চাপা দিয়ে লাভ নেই। এখানে দোষীদের ধরে শাস্তি দিতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রের যে উন্নতি তা যেন এই প্রশ্নফাঁস ম্লান করে দিতে না পারে সেজন্য এই প্রশ্ন ফাঁসে যারা জড়ির তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে যদি রাজনৈতিক পরিচয়ের কেউ জড়িত থাকেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এরা আমাদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করছে।

এ সময় মন্ত্রী শীতলক্ষ্যা সেতু নিয়ে বলেন, শীতলক্ষ্যা সেতু আমরা অনেক আগেই করতে পারতাম। এটি বিদেশী প্রজেক্ট। ধাপে ধাপে সবকিছু করতে হয়। একটি সেতু তৈরি করতে হলে অনেক ধাপ পেরুতে হয়। আর যদি তার জন্য ফান্ডের প্রয়োজন হয় আর সেলিম ওসমানদের মতো লোকজন এগিয়ে আসেন তখন আমরা সাহস পাই। যদি পদ্মা সেতুর মতো প্রজেক্ট আমরা নিজেরা করতে পারি তবে একটি ব্রিজও আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পারবো।

নিয়ম অনুযায়ী যা করার আমরা করছি। যতটুকু বলা আছে তা হবে আর যা কথা দিয়েছি তা রাখবো। সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যে কাজ করতে পারবো না সে ওয়াদা দেবো না। কারণ এটাই শেখ হাসিনার অঙ্গীকার, জনগণকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানোর কাজ আমরা করিনা। এ ছাড়াও তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান করে বলেন, সেলিম ওসমান সাহেবের সামাজিকমূলক কর্মকান্ড ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অমর হয়ে থাকুক।

add-content

আরও খবর

পঠিত