নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরে চনপাড়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছদ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কতৃর্পক্ষ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দিপ্তীময়ী জামানের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. গুলজার আলী ও উপ পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ এর তত্বাবধায়নে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানটি পরিচালিত হয়।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ এর জাহাজ অগ্রপথিক, একটি টাগ বোট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদকর্মী উপস্থিত ছিল। দুপুর দুইটা পর্যন্ত অভিযানে পাকা ও আধাপাকা বসতবাড়ি সহ অন্তত ত্রিশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ন-পরিচালক মো. গুলজার আলী জানান, ১০ দিনের উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচীর প্রথম ধাপে তিন দিনের অভিযানে সুলতানা কামাল সেতুর পুর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড়ে চনপাড়া এলাকা পর্যন্ত দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে পুনরায় চনপাড়া থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন, ভূমি কর্তৃপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ সমন্বয়ে নদীর সীমানা সংক্রান্ত পুন:জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সে আলোকে পুণরায় সীমানা পিলার স্থাপন করতে নদীর জায়গা দখলমুক্ত করা হচ্ছে। নদীর সীমানার দেড়শ ফুট পর্যন্ত এলাকায় উচ্ছেদ চলবে। শীতলক্ষ্যার তারাব সুলতানা কামাল সেতু থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
তিনি আরো জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর ৫০১১টি আপত্তিকৃত সীমানা পিলার পুনঃস্থাপনে ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। নতুন সীমানা পিলার ৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হবে। এছাড়া সরকার ঢাকার চারিপাশের ২১০ কিলোমিটার নদীপথ রক্ষায় ওয়াকওয়ে বনায়ন করছে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ২৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে। আরো ১৭ কিলোমিটার ওয়াকওয়ের নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে।