নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁয়ের শিশু রায়হান কবির(৯) হত্যার ঘটনাটি ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি পূরণ দিয়ে জোর করে মিমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ই মার্চ সোনারগাঁ থানার কাজরদী কুচিয়ামোড়া ব্রীজ এলাকায় ইটের ভাটার মাটি বহন কারী একটি ট্রাক শিশু রায়হান কবিরকে গাড়ীচাপা দিয়ে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। আহতাবস্থায় শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত শিশু রায়হান কবির শেরপুর জেলার নালিতা বাড়ি থানার কাপাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রায়হান কবির তার বাবা মায়ের সাথে থানার বাগদোবাড়িয়া এলাকার বিআরবি ইট ভাটায় বসবাস করে আসছিল। শিশু রায়হান কবিরের হত্যা কান্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক ভাবে ধামাচাপা দিয়ে চালককে হত্যার ঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য পাশ^বর্তী থানার বাগদোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাসান মিয়ার ছেলে মাটি বহনকারী ঠিকাদার আলীনুর (৪০) স্থানীয় প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের সহযোগীতায় নিহতের পিতা আফাজউদ্দিনের কাছ থেকে ননজুডিশিয়াল ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নিহত শিশুর ক্ষতিপুরণ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জোর করে আপোষ-মিমাংসা করেন বলে এলাকাবাসী ও ইটভাটার কর্মচারীরা অভিযোগ করেন ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সোনারগাঁ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে শিশু হত্যার ঘটনাটির ব্যাপারে চালক ও ঠিকাদার আলীনুরের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে ট্রাকের মাটি বহনকারী ঠিকাদার আলীনুরের সাথে মোবাইল টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় শিশু রায়হান কবির হত্যার ব্যাপারে নিহতের পিতাকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরন দিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে।
চ্যানেল এস টিভির বন্দর থানা প্রতিনিধি সাংবাদিক নাসিরের মধ্যস্থতায় শালিষের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য সাংবাদিক নাসিরের সাথে আলাপ করতে বলেন। সামাজিকভাবে সমাধান হলে প্রশাসনের কিছুই করার থাকেনা বলেও জানায়। ট্রাক চালকের নাম জানতে চাইলে সে হঠাৎ লাইনটি কেটে দেয়। ঠিকাদার আলীনুর তার ফোনের লাইনটি কেটে দেয়ার কিছুক্ষন পর অর্থ্যাৎ গত ২৫শে মার্চ বিকাল সাড়ে চার ঘটিকার সময় মোবাইল নং ০১৯২৪০৮৬২৮৬ নাম্বার থেকে প্রতিবেদকের ব্যবহৃত মোবাইল টেলিফোন নং ০১৬৮৬৪৫২৪৬৭ নাম্বারে ফোন দিয়ে সে নিজেকে চ্যানেল এস টিভির বন্দর থানা প্রতিনিধি নাসির নাম ঠিকানা পরিচয় দিয়ে সে প্রতিবেদকের নাম ঠিকানা পেশা ও অবস্থান জানতে চাইলে প্রতিবেদক সে তার নাম ও পেশা এবং তার অবস্থান ও শিশু হত্যার ঘটনাটি জানালে সে প্রতিবেদককে জানায় এলাকায় অনেক হলুদ সাংবাদিক রয়েছে এবং এলাকার হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার জন্য বলে। নিহত রায়হান কবিরের ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক ফরিদের সাথে ফোনে কথা হলে সে প্রতিবেদককে জানায় ঘটনাস্থলে সে গিয়েছিল এবং এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় মামলা বা জিডি হয়নি এবং উক্ত ঘটনার ব্যাপারে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইমন শাফীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশু রায়হান কবির হত্যাকারী ও তার সহযোগীদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। এদিকে যে ট্রাকের নিচে চাপা দিয়ে রায়হান কবিরকে হত্যা করা হয়েছে সে গাড়ীর কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না এবং ঠিকাদার আলীনুর। শিশু রায়হান কবির হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী জানায়।