নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দর শিশুবাগ বিদ্যাপিঠ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষালয়। এ শিক্ষালয়ের অনেক সুনাম বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু এখন সে বিদ্যালয়ে আর শিশুদের পাঠদান হুমকির মূখে পতিত হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে চলছে নানা নাটকীয়তা। এর মধ্যে দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় ওই কমিটির সভাপতির বদৌলতে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় অসাধু কর্তাবাবুরা বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নির্বাচন স্থগিত করতে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। যা সত্যিকার অর্থেই লজ্জাজনক। এতে করে অভিভাবকসহ স্থানীয়দের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এ কমিটিতে যারা রয়েছেন কাজী জহির, শাহ আলম, শ্যামল, আতিকুর রহমান মাসুম, কাজী নাসির, সুলতান খান, মোশারফ খান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক জানান, শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ৩ বছর পর পর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমান কমিটিতে থাকা প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও নদীখেকু কাজী জহির, আতিকুর রহমান মাসুম ও জাপা নেতা শাহ আলম মিলে একটি চক্র কুটকৌশল অবলম্বন করে একটি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টিতে তারা কাদা ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচনটি বানচালের চেষ্টা করছে। উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে নদী দখল ও ভূমি দস্যুতারও অহরহ অভিযোগ রয়েছে। এ সিন্ডিকেটটি নির্বাচন ছাড়া এ কমিটিকে কুক্ষিগত করে রেখে বিদ্যালয়টির আয় ব্যায়ের হিসেব লুটপাট করতে চায়। সিন্ডিকেডের মাধ্যমে ভূমিদস্যু দূর্নীতিবাজরা বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়টি জবর দখল করে রেখেছে। কেউ এদের ভয়ে-টু শব্দ করতে সাহস পায় না।
নিয়ম অনুসারে একমাত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকরাই নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচালনা করতে পারবেন। অথচ বর্তমানে থাকা অনির্বাচিত কমিটির কারো সন্তানই এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না, তারপরও তাঁরা এ বিদ্যালয়ের মাতব্বর।
তথ্য অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ.কে.এম কুতুবউদ্দিন খাঁন বেশ কয়েকবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও অনির্বাচিত কমিটির দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের নানা বাধাঁর কারনে এ বিদ্যালয়ের নির্বাচন হতে বিলম্ব হচ্ছে। একপর্যায় সকল বাধাঁ পেরিয়ে বেসরকারি শিক্ষা নীতিমালা অনুসারে ১৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় অফিস কক্ষে এক জরুরী সভা ডেকে সভাপতি কুতুবউদ্দিন খাঁন আগামী ১৫ নভেম্বর বন্দর শিশুবাগ নির্বাচন এর তফসিল ঘোষণা করেন। সে মিটিংয়েও অবৈধ কমিটির নেতারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রত্যাহারের জন্য সভাপতিকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগসহ মিটিংয়ে হৈচৈ হট্টগোাল করেন। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি অবৈধ কমিটির দূর্নীতিবাজদের দৌড়াত্ব । শুরু করে নির্বাচন বানচালের নানা অপকৌশল।
সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে একটি রিট করে নির্বাচন স্থগিতাদেশ চেয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখলেন অবৈধ কমিটির নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচন আবারও স্থগিত হওয়া হতাশ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের সাধারণ ভোটাররা। অভিভাবক ভোটাররা হতাশার সাথে বলেন, তাহলে কি আবারও র্দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের কাছে চলে গেল বন্দরে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়।
এ ব্যাপারে বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুতুব উদ্দিন খানের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আগামী ১৫ অক্টোবর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যথা সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেননা, এ নির্বাচন অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। একটি সুশৃঙ্খল কমিটির পরিচালনায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হোক এটা কমিটির কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিরা চায়না। ষড়যন্ত্রকারীদের সকল কুটকৌশল ভেস্তে যাবে। কমিটিতে ৪ জন সদস্যদের সম্মতিতে নির্বাচনের পক্ষে ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার কোর্টে দায়ের করা মামলার জবাব দেয়া হবে।
এই দূর্নীতিবাজ সিন্ডিকেডের হাত থেকে বন্দরে স্বনামধন্য এ বিদ্যাপাঠটি রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা উর্ধ্বতন শিক্ষা কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ।