নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রদিবেদক ) : শহরের আল্লামা ইকবাল রোডে গৃহ পরিচারিকা অন্ত:সত্ত্বার দায়ে ৪ দিন ধরে কারাভোগ করছে গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিন। গত সোমবার রাতে ১৩ বছর বয়সী এই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে এ ঘটনার অভিযোগে এর আগে মেয়ের জামাতা সজিবকে আটক করা হলেও ছেড়ে দেয়া হয়। তাই এই ঘটনাটির মধ্যে রহস্য রয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে অন্ত:সত্ত্বা গৃহপরিচারিকা সন্তানের ডিএনএ টেস্ট এর জোড়ালো দাবী জানিয়েছে তার স্ত্রী, ওর্য়াড কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী।
আর এ রহস্য উন্মোচনে কাজ করে যাচ্ছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানায়, আসলে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এ ধরণের চিন্তা আমাদের আছে। ইতোমধ্যেই কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নিবো। আমরা ডিএনএ টেস্টের ব্যাপারে কাজ করছি। শিঘ্রই গৃহপরিচারিকা অন্ত:সত্ত্বা ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।
সূত্র জানায়, রংপুরের কুড়িগ্রামের বাসিন্দা কিশোরী গৃহপরিচারিকা আদালতকে জানিয়েছে, সে তিন বছর ধরে ওই বাড়িতে কাজ করে। বাড়ি খালি পেয়ে এসএম সালাউদ্দিন তাকে ধর্ষণ করেন। কিছু দিন আগে পেটের ভেতর কিছু নড়েচড়ে উঠায় সে বুঝতে পারে বাচ্চা আসার বিষয়টি।
এর আগে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিন। তাকে ২২ জুলাই বিকেলে শহরের ২৩/৪ আল্লামা ইকবাল রোডের নিজ বাড়ি থেকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সালাউদ্দিন এই এলাকার মৃত শেখ ফজর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, ঘটনার দিন জামাতা সজিব কয়েকবার হুমকিও দেয়। পরে তাকে ছুটিয়ে আনতে বিভিন্ন তদবিরে ব্যর্থ হলে জামাতাকে বাঁচাতে নিজেকে বলি দেন শ্বশুর। বিকালেই মেয়ের সাথে থানায় হাজির হন সালাহ উদ্দিন। এরপর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃদ্ধ সালাউদ্দিনকে সোমবার রাতে আটক করে পুলিশ। পরে গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্বীকারোক্তী অনুযায়ী কারাভোগ করলেও এদিকে স্থানীয়দের মাঝে সন্দীহান হওয়ায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন গৃহকর্তা এসএম সালাউদ্দিনের পারিবারিক কোলহ রয়েছে। হতে পারে সম্পত্তি দখল কিংবা অন্য কোন ষড়যন্ত্র হিসেবে তাকে চাপ সৃষ্টি করে এ ধরনের স্বীকারোক্তি দিতে তাকে বাধ্য করা হয়েছে।