নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : শিক্ষা সফরে গিয়ে বন্দর গার্লস স্কুলের ৬ষ্ঠ শেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাদিয়া আলম ঝুঁথির মৃত্যু হয়েছে । সাদিয়ার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রোববার (৭ এপ্রিল) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। এদিকে পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অবহেলার কারণে অকালে প্রাণ গেছে তাদের মেয়ের।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, বন্দরের আমিন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শ্রমিক নেতা এসটি আলমগীরের ভাতিজি ও ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছোট মেয়ে সাদিয়া। সাদিয়া ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল। বন্দর গার্লস স্কুলের সামনে থেকে দুই শত শিক্ষার্থী ও ৫০ জন শিক্ষক নিয়ে রোববার সকাল ৮টায় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় একটি বাস।
একই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও সাদিয়ার বড় বোন জাকিয়া আলম জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে পায়ে ব্যথা করছে বলে জানায় সাদিয়া। শিক্ষকদের এ বিষয় জানালে একটি কক্ষে নিয়ে বসাতে পরামর্শ দেন তারা। পরে দুপুর আড়াইটায় খাবারের পর রর্যাফেল ড্রয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে। বিকেল সাড়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাদিয়ার অসুস্থতা বেড়ে যায় এবং মাথা ব্যাথা করছে বলে জানায় সে। এ সময় গাড়িতেও ওঠতে পারে না সে।
সাদিয়ার বড় বোন আরও জানান, পরে সাদিয়ার বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানিয়ে একটি সিএনজি যোগে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
জাকিয় আলম বলেন, আমি বোনের কথা জিজ্ঞেস করলেও শিক্ষকরা আমাকে কিছু জানায়নি। বলেছে, সাদিয়ার জ্বর এসেছে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে আমার বাবা আসলে আমার বোন মারা গেছে বলে জানায়। সাদিয়া স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে জানায় চিকিৎসক। কান্নাজড়িত কন্ঠে এসব জানান নিহতের বড় বোন।
এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বন্দরের আমিন আল আমিন জামে মসজিদে প্রথম জানাযা নামাজ শেষে গ্রামের বাড়ি আলীরটেক ইউনিয়নের আলীরটেক মাদ্রাসায় সকাল ১১ টায় দ্ধিতীয় জানাযা শেষে লাশ দাফন করা হয়।