নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের হালুয়াপাড়া শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটি ক্রীড়া শিক্ষক মাসুমকে সাময়ীক বরখাস্ত করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন আবু সাইদ ম্বোর, মোস্তফা কামাল, সোনামিয়া মেম্বার, নরীর হোসেন মেম্বার, জামাল মেম্বার, ফয়েজ মেম্বার। তদসংঙ্গে ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়। শনিবার দুপুরে স্কুলে জরুরী সভা ডেকে ম্যানেজিং কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেন।
গত বৃহস্পতিবার বড় ও রঙ্গিন চুল নিয়ে স্কুলে আসায় ক্লাশের শিক্ষক মাসুম কয়েকজন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। পরে ছাত্ররা নিকটস্থ সেলুনে গিয়ে পুরো মাথা ন্যাড়া করে নেয়। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়ীক বরখাস্ত করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ জানান, ক্রীড়া শিক্ষক মাসুম ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা দানের জন্য শাসনের জন্য ফ্যাশনকৃত ছাত্র সিফাত ও আরিফের মাথার সামান্য চুল কেটে দেয়। পরে ছাত্ররা সেলুনে গিয়ে পুরো চুল কেটে ফেলে। তবে শাসনটি অপশাসনে পরিনত হয়। তাই বিষয়টি তদন্তজের জন্য আবু সাইদ মেম্বারকে প্রধান করে ৬ সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খন্দকার শামীমা আক্তার জানান, ঘটনার দিন তিনি দুপুরে ছুটি নিয়ে প্রয়োজনিয় কাজে বাড়ি চলে যান। তিনি বাড়ি যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। তরে ক্রীড়া শিক্ষক শাসনের জন্য ছাত্রদের মাথার চুল কেটে ছিল। এ বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষক মাত্র ৮ জন। তার পরেও গত এসএসসি পরীক্ষা এ বিদ্যারয়ের পাশের হার শতভাগ। আমরা বিদ্যালয়ের সুনাম ও শিক্ষার্থীদের ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার জন্য একটু কঠোর ভাবে শিক্ষা দান করে থাকি।
এ ব্যপারে ক্রীড়া শিক্ষক মাসুম জানান, বেশ কিছু দিন যাবত ছাত্রদের মাথার চুল কেটে সাবলিল ভাবে স্কুলে আসার কথা বলা হচ্ছিল। তার পরেও ছাত্ররা কোন কথা না শুনে মাথার চুল বড় ও রঙ্গিন করে রেখেছে। আমি সিফাতের মাথার চুল সামান্য কেটে তাকে শাসন করেছি। এ সময় ছাত্ররা বেয়াদবি করে অন্যান্য ছাত্রদের চুলের কথা বলতে থাকলে আমি আরও এক ছাত্রের মাথার সামান্য চুল কেটে দেই। পরে ছাত্ররা তাকে হুমকি দিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গিয়ে সেলুনে গিয়ে পুরো চুল কেটে ফেলে।
অভিভাবক সানোয়ারা বেগম ও নেকবর হোসেন জানান, স্কুলের কিছু ছেলেরা উশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরা করে। তারা স্কুলে আসা মেয়েদেরও উত্তেক্ত করে। এ নিয়ে একাধিক বার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিস করা হয়েছে।
এব্যপারে বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা এম এ রশিদ বলেন, এ বিদ্যালয়টি এমপি সেলিম ওসমানের নিজস্ব অর্থায়নে বহুতলা ভবন করে স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। এ খানে যাতে উন্নত স্কুল না হয় এ জন্য একটি চক্র ভবন নির্মাণের সময় থেকে বিরোধিতা করে আসছে। ক্রীড়া শিক্ষকের এ ঘটনাকে পুজি করে এ চক্রটি স্কুলের সুনাম ক্ষন্ন করা জন্য বিভিন্ন প্রকার বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।