নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দর উপজেলার সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছোট বড় প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে ৫০০ পাউন্ডের কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এর উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগীতা এবং বন্দর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।
রোববার (১৭মাচর্) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্দর নবীগঞ্জ সংলগ্ন সমরক্ষেত্র-৭১ মাঠে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ন ভাবে আনন্দ উদ্দীপনার মাধ্যমে জন্মদিনের উদযাপনের মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গীপাড়া গ্রামের খোকা থেকে জাতীয় জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হয়ে উঠার গল্প উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীর মাঝে তুলে ধরা হয়।
স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ৫০০ পাউন্ডের কেকটি কাটার সময় মাঠে উপস্থিত প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। পরে সংসদ সদস্য শিশু শিক্ষার্থীদের কেক খাইয়ে দেন।
এরআগে এমপি সেলিম ওসমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আজকে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করতে পারতাম না। আরেকটি হচ্ছে যারা নাকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ে তুলবে সেই শিশুদের নিয়ে আজকে জাতীয় শিশু দিবস।
এমপি সেলিম ওসমান এক পর্যায় মাঠে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আহবান রেখে কয়েকজনকে মঞ্চে আসতে বলেন। যারা নাকি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সমস্যা গুলো তাঁর সামনে তুলে ধরতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন মঞ্চে উঠে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে জাঙ্গাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী স্কুলে নিরাপদে যাতায়াতের সুবিধার্থে জাঙ্গাল এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানান। পরিপ্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমান উপজেলা প্রৌকশলীকে সরেজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করে তাকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংসদ সদস্য নিজে সেখানে গিয়ে ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণের প্রয়োজনীতা থাকলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে ওই শিক্ষার্থীকে আশ্বস্ত করেন। সেই সাথে তিনি বলেন, আজকে এই বাচ্চাটি আমাদের সবাইকে লজ্জা দিয়েছে। যেই কাজটি আমার অথবা ওই এলাকার চেয়ারম্যানের করার কথা ছিল সেই কাজটি এই বাচ্চাটা আমার স্মরন করিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে জেনারেট ব্যবস্থা, লাঙ্গলবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান বেঞ্চ, মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সাইন্সল্যাব স্থাপন, নাজিম উদ্দিন ভুইয়া ডিগ্রি কলেজের যাতায়াতের রাস্তাটি সংস্কার করা সহ বেশ কয়েকটি দাবী উপস্থাপন করেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সব শেষে ১৭মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগীতায় অংশ নেওয়া মোট ২৬জন বিজয়ী প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সমরক্ষেত্র মাঠে অস্থায়ী ভাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগে সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরীন বেগম, মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা।