নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে চুরির অপবাদ দিয়ে মাহফুজ(৩০) ও মিন্টু (২৫) নামে নিরীহ দু’রিকশা চালককে শিকল দিয়ে বেধে ঘরের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে ৩দিন ঘরে আটকে রেখেছে কথিত মহাজন মহিউদ্দিন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। বর্বরোচিত এ নির্যাতনের ঘটনাটি থানার বুরুন্দি এলাকায় ঘটে। আটকের ৩দিন পর ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ মাহফুজ ও মিন্টুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকা অভিযোগে পুলিশ পাষন্ড মহাজন মহিউদ্দিনের ভাই সফিউদ্দিন(৩৬)কে গ্রেফতার করেছে তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় নির্যাতনকারী মহাজন মহিউদ্দিন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করে। এ ব্যাপারে মাহফুজের স্ত্রী জানায়,গত ৪দিন পূর্বে বুরুন্দী এলাকার মৃত রইসউদ্দিনের ছেলে কথিত মহাজন মহিউদ্দিন মিয়ার রিকশা চুরি হয়। ওই চুরির অপবাদ দিয়ে মহাজন মহিউদ্দিন তার ভাগিনা আরিফসহ অন্যান্যরা মিলে শুক্রবার বিকেলে মাহফুজ ও অপরাপর রিকশা চালক মিন্টুকে প্রথমে গ্যারেজে নিয়ে শিকল দিয়ে বেধে মাথা নিচে পা উপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে বেদম প্রহার করে। রিকশা চালক মাহফুজ ও মিন্টু রিকশা করেনি বলে কাকুতি মিনতি করার পরও পাষন্ডদের মন গলাতে পারেনি তারা। অবশেষে লেহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে মাহফুজ ও মিন্টুকে দিনরাত নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে। তাদেরকে ৩দিন ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের স্টীমরোলার চালায় তারা। মহিউদ্দিন বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য এলাকাবাসীর চোখে পড়লেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদের সাহস পায়নি। এ ব্যাপারে মিন্টুর ভাড়া বাড়ির মালিক বৃদ্ধা রহিমা বেগম জানান,চুরির প্রমাণ না পেয়েই্ একজন সাধারণ মানুষের উপর এভাবে নির্যাতন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। এর কঠিন বিচার হওয়া দরকার। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহিউদ্দিন মহাজন জানান,৪দিন নয় ৩দিন ধরে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় মোসলেহউদ্দিন মেম্বার ও ইয়ার হোসেন বিচার করে দিবে বলে জানানোর কারণে তাকে আটক করে রাখা হয়। এদিকে নির্যাতিত মাহফুজ ও মিন্টু সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের অমানবিক বর্ণণা দিলেও নির্যাতনকারী মহিউদ্দিন মহাজনের পক্ষে সাফাই গেয়ে মোসলেহউদ্দিন মেম্বার বলেন,নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মোসলেহউদ্দিন মেম্বারের রহস্যজনক আচরণ গোটা এলাকাবাসীর মাঝে নানা সমালোচনার সৃষ্টি করে।