নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শহর জুড়ে বেড়েছে ছিনতাইকারীদের উৎপাত। প্রতিদিনই শহরের কোথাও না কোথাও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছেই। ফাঁকা হউক কিংবা ব্যস্ত সড়ক। চলন্ত অবস্থাতেই বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের ব্যাগ, মোবাইল ফোন সেট, মানিব্যাগ, গলায় পড়নে চেইন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় এরা। এ ধরনের ছিনতাইকারী চক্রকে -টানা পার্টি- নাম দিয়েছে সাধারণ জনগণ। তারা এতটা দাপটে ঘুরে বেড়ায় যে ঘটনাস্থল থেকে পার পেয়ে গেলেই উল্টো হুমকীর মধ্যে পড়ে ভুক্তভোগীরা।
শহরের কয়েকটি এলাকা ঘুরে ভুক্তভোগী, স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব ছিনতাইকারী চক্রের দখলে রয়েছে চাষাঢ়া মহিলা কলেজ ও রেল স্টেশন, জামতলা, ঈদগাহ মাঠ, ২নং রেল গেইট, নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট, হাজীগঞ্জ দূর্গ সহ বিভিন্ন নিরবিচ্ছন্ন স্থানও। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে এ চক্রের দৌরাত্ম্য। আর তারা এতটাই বেপরোয়া যে, তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ই সাধারণ মানুষের উপর চালাচ্ছে নৃশংস হামলা। এ হামলার শিকার হচ্ছেন, চাকুরীজীবী, গৃহিনী, ছোট্ট শিশু, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, নার্স, এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাও। এতে ঘটেছে প্রাণহানির মত র্মমান্তিক ঘটনাও। কিন্তু তারপরেও যেন কিছুতেই ছিনতাইকারীদের ঠেকাতে পারছে না পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, নাম মাত্র তল্লাাশি চৌকি থাকলেও যথাযথ কার্যকারিতা পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। কারণ চাষাঢ়া, ২নং রেল গেইট, হাজিগঞ্জে পুলিশের তল্লাাশি চৌকি থাকলেও এ ধরণের ছিনতাইকারী কি ভাবে পার পেয়ে যায়। দিনের বেলা যেমন তেমন, কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে সড়কে টহল পুলিশ দেখা যায় না। এছাড়াও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃশ্যমান তৎপরতা থাকে না সড়ক কিংবা ফুটপাতগুলোর আশপাশে। যে কারণে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত অনেক সড়ক ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম বলেন, আমাদের কাছে কেউ ছিনতাইয়ের ঘটনার কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। পুলিশের বিভিন্ন টিম তো কাজ করছেই। তারপরেও আমরা ছিনতাই ঠেকাতে স্পেশাল ফোর্স দিয়ে আটকের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।