নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যিনি পিতা-মাতা আপনজন হারা তিনিও কখনও দেশকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করেননি। এ দেশ জনগণের। তাই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। আর বিএনপি ও জামায়াত শিবির শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করে দিতে ৫ শত ৮৭টি স্কুল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালে ৩ মাসে দেশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি জোট সরকার। ক্ষমতা যাওয়া পিপাসায় ৫ জানুয়ারী ৮৫ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে। সেই সকল শকুন নিয়ে আমাদের দলের কতিপয় নেতা হাইব্রিডদের পরামর্শে আমাদের উপরই আঘাত করে তখন আর সহ্য করা যায় না। ৩১ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে বন্দরে ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অংঙ্গ সংগঠন আয়োজিত প্রয়াত কদম রসুল পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জসিমউদ্দিন কবিরের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বর্তমানে আওয়ামীলীগে কা কা ও হাইব্রিড নেতাদের ছাড়াছড়ি । তাদের কারণে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতা যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে জাপিয়ে পড়েছিল। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে দশের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। তারা আজ হাইব্রিড নেতাদের জন্য অবহেলিত। নির্বাচন এলে জনগণকে মা-বাবা, ভাই-বোন বা পায়ে ধরে ভোট ভিক্ষা করে নির্বাচিত হয়ে অনেকে সেই এলাকা তার নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে। তখনই কষ্ট লাগে। নির্বাচন এলে জনগণকে মা-বাবা, ভাই-বোন বা পায়ে ধরে ভোট ভিক্ষা করে নির্বাচিত হয়ে অনেকে সেই এলাকা তার নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে। তখনই কষ্ট লাগে।
জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.এ রশীদ। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম উদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য এহসানুল হাসান নিপু, মহানগর কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক এস.এম জিল্লুর রহমান লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক ও ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান। এসময় ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করে স্মরনসভা স্থল জনসমুদ্রে পরিনত করে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াানোর মতো অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ চায়নার পরেই গননায় এসেছে। শেখ হাসিনা আর ৫ বছর ক্ষমতায় থকালে বাংলাদেশ মালেশিয়া ও সিংগাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। দেশের উন্নয়ন চাইলে আপনারা আবারও শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় আনতে হবে। আর যাদি ভুল করে খালেদা জিয়াকে ও তার সাথে থাকা স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় আনেন তবে দেশ আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননের মতো হবে। যদি আবারও আমাদের মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত করাতে চান তবে খালেদা জিয়াকে ভোট দিন। আর যদি দেশের উন্নয়ন চান তবে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনেন। সবশেষে জসিম উদ্দিন কবিরের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হক, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব এম. এ. সালাম, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব মাছুম আহাম্মেদ, মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা রোটারিয়ান আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধূরী, মহানগর শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরফুদ্দিন সুজন, বন্দর থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাতেম খন্দকার, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইশরাত জাহান খান স্মৃতি ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফাযেত আলম সানী প্রমুখ। স্মরণ সভার মঞ্চে আরো বক্তব্য রাখেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, কদম রসুল পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন জনী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জাকির হোসেন। বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আলী আহাম্মদ, শ্রমিকলীগ ইসলাম পলু, নিজামউদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা প্রধান, বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম আওয়ামীলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল, ছাত্রলীগ নেতা মাইকেল বাবু, যুবলীগ নেতা ফারুক প্রধান, প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম জসিম উদ্দিন কবিরের বড় ছেলে ফয়সাল কবির ও ছোট ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিম প্রমুখ।