লাঙ্গল দেখতে দেখতে নৌকাকে ভুলতে বসেছে : আবদুল হাই

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বলেছেন, আর লাঙ্গল নয় এবার নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকার প্রার্থী দিন। লাঙ্গল দেখতে দেখতে অনেকে নৌকাকে ভুলে যেতে বসেছে। অথচ এই নারায়ণগঞ্জেই নৌকার প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানাব আপনি অত্র জেলার সবগুলো আসনে নৌকার প্রার্থী দিন বিনিময়ে আমরা আপনাকে বিজয় উপহার দিব।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (বাদশা সাহেব) নামে নয় সত্যিকার অর্থেই তিনি বাদশাহ ছিলেন, বাদশাহ এর মত তার হৃদয় ছিল। তিনি সর্বদা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছেন এবং আজকের এই দিনে আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, না:গঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি ও মদনপুরের কৃতি সন্তান আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (বাদশা সাহেব) এর ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে না:গঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব আরজু রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সোমবার বিকেল ৪টায় বন্দরের মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে না’গঞ্জ জেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হাই উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আরজু রহমান ভূঁইয়া বলেন, সাত্তার ভূঁইয়া স্বাধীনতার আগে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে ও আদমজী পাট কলের শ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। আজ তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি যাতে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাত বাসী করেন। আমি বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন প্রান্তে শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে ২৬টি উঠান বৈঠক করেছি। আ:লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি না:গঞ্জ-৫ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি তাই নেত্রীকে অনুরোধ জানাব অত্র আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন দিয়ে আমাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ দিন। বক্তারা সাত্তার ভূঁইয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন এবং স্মরণ সভা শেষে এ মহান নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

উক্ত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ, বন্দর থানা আ’লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদির ডিলার এবং বন্দর থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ। তাছাড়া মদনপুর ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শুক্কুর আলী, সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম ইব্রাহিম, যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল, জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা এডভোড়েশকট মামুন ভূইয়া, মদনপুর ইউপি মেম্বার হাবীবুল্লাহ ভূঁইয়া, সাবেক মেম্বার সুরুজ মিয়া, নাসিকের মহিলা মেম্বার হোসনে আরা, মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমান উল্লাহ, আ’লীগ নেতা মুসলিম প্রধান, মোঃ আলী ভান্ডারী, মোজাম্মেল হক মুকুল, আঃ মোতালিব মিয়া, জাকির হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা আল-আমিন সরকার, নজরুল ইসলাম বাদশা, মোস্তফা ভূঁইয়া, আমজাদ, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল ভূঁইয়া, সিরাজ, শেখ আলমগীর, ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, শ্রমিক লীগ নেতা এবাদুল্লাহ মিয়া, মিজানুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল, বিপশা, আলীম, তাঁতী লীগ নেতা আব্দুল হক, আমজাদ, মোস্তফা মেম্বার, সামসুদ্দোহা, হাজী আবু সাঈদ সহ বন্দর থানা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের পাশপাশি বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বন্দরের ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত