নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ধর্ষনের পর লজ্জায় ঘৃনায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহননের ঘটনার ৬ দিনেও অভিযুক্ত ধর্ষনকারী হাবিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। স্থানীয় মাতবর আলী আকবর মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত মোবাইলে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে নিহত স্কুল ছাত্রী মানছুরার পিতা জাকির হোসেন অভিযোগ করেন। জাকির হোসেন নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ কে জানায়, গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির ফটকে দাড়িয়ে ছিল তার প্রাথমিক স্কুল পড়–য়া মানছুরা। এ সময় ঐখান থেকে মানছুরাকে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার লাঙ্গলবন্দ নগরের মোতালেব বাক্কার গার্মেন্ট শ্রমিক হাবিবুর রহমান। পরে বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। গ্রাম্য মাতবরদের প্রহসনে ৩ দিন পর ১০ ডিসেম্বর রাতে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করে। এ ঘটনা থানায় মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছে। ধর্ষনকারী পরিবারের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাক মানবধিকার ও আইন সহয়তা কেন্দ্র মানছুরার পরিবারের পাশে সয়হতায় এসে দাড়িয়েছে তিনি জানিয়েছে। বন্দর মিনারবাড়ি ব্রাক মানবধিকার ও আইন সহয়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তা যাত্রাকুমার রায় জানান, চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মানছুরা ধর্ষনের পর আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর খবর পেয়ে তার পরিবারের পাশে ব্রাক এ সংস্থাটি আইনি সহয়তায় করবে। ব্রাক মামলাটি পরিচালনার জন্য সম্পন্ন আর্থিক খরচ বহন করবে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক জানান,আত্মহত্যাকারী মানছুরার ময়না তদন্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মামলাটি নিয়ে আগানো যাচ্ছে না। রিপোর্ট হাতে পেলেই পুরো ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনারা নাজনীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের পর আতœহত্যা করেছে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। বিজয় দিবস নিয়ে তিনি খুব ব্যস্থ রয়েছেন। পরে তিনি থানার ওসি’র সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে স্কুল ছাত্রী মানছুরার ময়না তদন্তের রিপোর্ট আজ কালের মধ্যে পুলিশের হাতে চলে যাবে বলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন।