নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাচীনতম বটগাছ। বটগাছটি এক একর জমিজুড়ে বিস্তৃত। গাছটির বয়স আনুমানিক ৪০০ বছর, কারো মতে ৫০০ বছরের ওপরে। ওই জমির মালিক ছিলেন ৩৬০ আউলিয়ার একজন আল-হাদী (র.)। আল-হাদী ছিলেন মিরপুরের শাহ আলীর (র.) বড় ভাই। কুলাদি মৌজায় অবস্থিত গাছটি (হিরনাল বাগবাড়ী বটগাছ) নামে পরিচিত।
স্থানীয়রা জানান, গাছটি ৪০০ বছরের পুরনো। রাস্তার ধারে ডাল-পাতায় পরিপূর্ণ গাছটি জনবিরল স্থানে পথিকের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল। বটগাছটি একের পর এক ঝুরি নামিয়ে বিরাট আকার ধারণ করেছে।
জনশ্রুতি আছে, ৫০০ বছর আগে আল-হাদী (র.) এলাকায় বসবাস করেছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এটি খাস হয়ে যায়। আগে তিথি অনুযায়ী এখানে পাঠা বলি হতো। এ গাছের নিচে একটি স্থায়ী কালীপূজার আসন স্থাপিত হয়েছে। এখনও মানুষ এখানে মানত করে। তবে এখনো পর্যন্ত কারো নজরে আসেনি।
তৎকালীন জমিদার রামরতন ব্যানার্জি হাতির শূর দিয়ে বটগাছটি টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। বটগাছটির নিচে কথা হয় জসিম সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাপ-দাদাগো মুখে হুনতাম এই বটগাছের কথা। গাছটির বয়স ৫০০ বছরের ওপড়ে।
পঁচানব্বই বছর বয়সী নাসির ফকির বলেন, গাছটির বয়স সাড়ে ৩০০ বছরের ওপড়ে। আবার বাবা মজিবুর রহমান ওরফে ঠান্ডু ফকিরই বেঁচে গেছেন ১০০ বছর। আমার বাবায় কইতো দাদায়ও এই গাছটা এমন দেখছে।
তবে বটগাছ অযত্ন, অবহেলা ও অত্যাচারে বিলীন হতে চলেছে। বিস্তৃত এ বটগাছের দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখির কলকাকলি মুখরিত শীতল পরিবেশ বিমুগ্ধ চিত্তকে বিস্ময় ও আনন্দে অভিভূত করে।