নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে চতুর্থ দফায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছে বিআইডব্লিউটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বেলদি এলাকায় নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা দুটি ইট-ভাটার ১৬ টি দেয়াল সহ অন্যান্য ২৭টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিম জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা শফিকুর রহমানের মালিকানাধীন আর এমকে ও মুজিবুর রহমানের মালিকানাধীন এম এ এফ নামের দুটি ইট-ভাটার শীতলক্ষ্যা নদীর প্রায় ২ হাজার দৈর্ঘ্য এবং ২শত ফুট প্রশস্ত জায়গা দখল করে ইটভাটা নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছিল। বিআইডব্লিউটিএ এ বুধবার এ দুটি ইট-ভাটার অবৈধ অংশ গুড়িয়ে দিয়ে প্রায় এক একর জমি উদ্ধার করে। এসময় ২ টি ইট-ভাটার দেয়ালসহ ১৬ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
পরে একেএম আলাউদ্দিনের মালিকানাধীন রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ডে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ড ইতিপূর্বে নদীর তীরে জাহাজ ওঠানামার জন্য লাইসেন্স নিলেও সেটা নবায়ন করেনি।
এছাড়া মাত্র ৫০ শতাংশের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করলেও কয়েকগুন বেশী জমি ব্যাবহার করছিল শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। এ সময় নদীর তীর থেকে প্রায় দেড়শত ফুট নদীর জায়গা লাল রঙ্গের নিশান টানানো হয়।
পরে অবৈধভাবে নদীর জমিতে রাখায় নির্মাণাধীন দুটি পল্টুনের আংশিক, একটি ছোট জাহাজ, একটি স্পিড বোট, একটি টিনশেড ঘর, একটি বিশাল আকৃতির ওয়ার্কশপের আংশিক, একটি সেমি পাকা ঘরসহ মোট ১১ টি স্থাপনা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পরে রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দেন আগামী ২ মাসের মধ্যে নদীর জমিতে থাকা বাকী অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিবেন।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহসহ বিআইডব্লিউটিএ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া একটি ভেকু, জাহাজ অগ্রপথিক, একটি টাগবোট, একটি স্পীডবোট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য সহ উচ্ছেদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।