নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ সংবাদদাতা ) : রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প কয়েক শত সরকারী জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করে দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠায় এখানকার জমির মুল্যেও অধিক হাড়ে বেড়ে গেছে। এ জন্য আবাসন প্রকল্প গুলোর চোখ পড়েছে এসব সরকারী জমিতে। ইতি মধ্যে প্রায় ২০০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে জানান, রূপগঞ্জ ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প সরকারী জমি জবরদখল করে রেখেছে। এসব সরকারী জমিতে আগে কৃষকরা ফসল ফলাতেন। আর এসব দখলে সহযোগীতা করছেন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদ। আবাসন প্রকল্পের মধ্যে আনন্দ পল্লী, ঢাকা ভিলেজ, আশালয়, সী-শেল আবাসন প্রকল্প সরকারী জমিতে অবৈধ ভাবে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করেছে। কিছু দিন পুর্বে এসব আবাসন প্রকল্পের দখলে থাকা সরকারী প্রায় ২০০ বিঘা জমি উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এ জন্য স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
ভুমি অফিসের একটি সুত্র জানায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদকে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের তালিকা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দিলেও গত ৬ মাসেও তারা পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
অভিযোগ উঠেছে, সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদের সঙ্গে আবাসন প্রকল্পের মালিকপক্ষের রয়েছে সখ্যতা। মাসে মাসে সরকারী জমি দখলে রাখা আবাসন প্রকল্প গুলো থেকে মাসোহারা আনতেন তারা। এ জন্য চোখের সামনে সরকারি জমি দখলে নিয়ে রাখলেও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
এ বিষয়ে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন ও উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নসহ যেখানে যেখানে সরকারী অর্পিত জমি রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সব গুলো উদ্ধার করা হবে। ইতি মধ্যে প্রায় ২০০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন ও বালু ভরাট করতে দখলদারদের ভুমি অফিসের কেউ কেউ সহযোগিতা করেছে বলে আমি শুনেছি, এগুলোর ব্যপারেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।