নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা সদর কমপ্লেক্স এলাকার আরএইচডি থেকে বিএডিসি অফিস হয়ে পাবলিক হেল্থ অফিস সড়কে ও মঠেরঘাট থেকে উপজেলা পশু হাসপাতাল সড়কের মাঝখানে পাচঁটি খুঁটি রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ এলজিইডির এসড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুঁটিগুলো সড়কের মাঝখানে রেখেই নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন। তাতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ ক্রমাগত বেড়েই চলছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়ক দুইটিতে পাচঁটি বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। তাতে উপজেলা কমপ্লেক্সে আসা যাওয়া করতে হাজারো মানুষের চলাচলে দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। মের্সাস আসিফ এন্ড বাদার্স নামকঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই সড়ক দুইটির পুন:নির্মাণ করছে। আর খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝখানে রেখেই তারা নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। বহু আবেদন-নিবেদন করেও খুঁটিগুলো অপসারণ করাতে না পেরে তারা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
খুঁটিগুলো স্থানান্তরের জন্য বহুবার আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোন ফল হয়নি। উপয়ান্তর না দেখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী বারবার তাগিদ দিয়ে ব্যর্থ হয়ে জনস্বার্থেস্থানীয় সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের সুপারিশ সম্বলিত আবেদনপত্র দিয়েছেন। তাতেও কোন সুফল হচ্ছে না। প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও মন্ত্রীর সুপারিশকে উপেক্ষা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি খুঁটি গুলো স্থানান্তরের উদ্যোগ না নেয়ায় স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তাতে চলাচলে বিঘ্নতা বেড়েই চলেছে। বিঘ্নতার পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনাও। বিদ্যুৎ অফিসের উদাসীনতায় দিনদিন এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছেন। যেকোন মুর্হুতে সড়কেদুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটতে পারে।
এছাড়া রূপগঞ্জ-ইউসুফগঞ্জ সড়কের দুই/তিন স্থানে, তারাবো পৌরসভার দেবই-কাহিনা সড়কে দুইটি, শান্তিনগর-নার্সিংগল সড়কে একটিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কের মাঝখানে ঝুঁকিপুর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। কোথাও রাস্তার মাঝখানে। আবার কোথাওবা পাশে থাকা খুঁটি রাস্তার উপরে হেলে আছে। এ বিষয়গুলো নিরসন করা এখন সময়ের দাবি।
ব্রাক্ষণগাঁও এলাকার বাসিন্দা শাহ্জাহান ভুঁইয়া বলেন, এ সড়ক দুইটিতে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কে খুঁটি বসানোর সময় এলাকাবাসী বাধাঁ দিলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তা অমান্য করে খুঁটিগুলো স্থাপন করে।
মঠেরঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম হারেজ বলেন, ওই সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তাতে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে খুঁটিগুলো স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্ড বাদার্সের মালিক আবুল কামাল আজাদ বলেন, জনস্বার্থে খুঁটি সরানোর জন্য গত ৬ মাস ধরে বহু আবেদন-নিবেদন, দেন-দরবার করে ব্যর্থ হয়ে সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রকল্পের প্রাককলনে খুঁটি সরানোর ব্যয় ধরা হয়নি। সে কারণে পল্লী বিদ্যুতকে খুঁটি সরানোর ব্যয়ের টাকা প্রদান করা যাচ্ছে না। যা নারায়ণগঞ্জ এলজিইডি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবহিত করেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সরানো না হলে খুঁটিগুলো সড়কের মাঝখানে রেখেই নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের সুপারিশ সম্বলিত সড়কের মাঝখানের খুঁটি স্থানান্তর বিষয়ক একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। এব্যাপারে আমাদের কিছু করণীয় নেই। অনুমোদনের জন্য সেই আবেদনপত্র পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। শিগগিরই খুঁটি গুলো সরানো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।