নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে মো. মাসুম খন্দকার (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে নোয়াপাড়া-দক্ষিণ রূপসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মাসুম ওই এলাকার মো. ফজর আলী খন্দকারের ছেলে। বর্তমানে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ বিষয়ে আহত ব্যবসায়ীর বাবা মো. ফজর আলী খন্দকার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় শুক্রবার দুপুরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে একজন ভিখারি নোয়াপাড়ায় হাজী দারগালি জামে মসজিদে আসরের নামাজের সময় সাহয্য চাইতে আসেন। এ সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা ওই বিখারিকে ধমক দিতে থাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ফজর আলী মোস্তফাকে ধমক দিতে নিষেধ করলে মোস্তফা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ বিষয়ে অন্যান্য মুসল্লিদের সঙ্গেও মোস্তফার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মাসুম খন্দকার প্রতিবাদ জানায়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা প্রতিবাদী মাসুমকে মারধর করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
আরও জানা যায়, তারাবির নামাজ শেষে মাসুম খন্দকার মসজিদ থেকে বের হতেই তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় ওই এলাকার মাদক স¤্রাট মো. ইসহাকের ও মোস্তফার নেতৃত্বে তার সহযোগী একই এলাকার মো. ছবুর ও ইউসুফসহ তাদের লোকজন মাসুমের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাথারী মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে মোস্তফা চাপাতি দিয়ে মাসুমকে কোপ দেয়। এ সময় তার ভাই ছবুর ব্লেড দিয়ে মাসুমকে পোঁচ দিলে তার মুখে গভীর ক্ষত হয়। পরে মাদক স¤্রাট ইসহাক, রাশিদা ও ইউসুফ লোহার পাইপ ও রড দিয়ে মাসুমকে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে। এ ঘটনায় মাসুমের দুটি দাত পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ওই মাদক ব্যবসায়ীরা অস্ত্রের মুখে মাসুমকে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় মাসুমকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।