নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার ৫ হাজার বৈধ/অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ৫ শতাধিক বৈধ গ্রাহক রয়েছে। আজ ২৬ই মে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যেমে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় ঝুট মিলসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ৬ ইঞ্চি ও ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ পিএসআইজি তিতাস গ্যাসের পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। পরে এসব পাইপ লাইনে ১৫০ পিএসআইজি প্রেসার থেকে ৫০ পিএসআইজি প্রেসারে নিয়ে আসা হয়। আর ৫০ পিএসআইজি প্রেসারে আবাসিক সংযোগ নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন দেয়া যায়। এজন্য কাঞ্চন পৌর এলাকায় তিতাস গ্যাস কোম্পানি বিতরণ লাইন ও আবাসিক সংযোগের অনুমতি দেন। কিন্তু বর্তমানে বৈধ গ্রাহকের চেয়ে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা গত ১৫ই মে কাঞ্চন পৌর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, এ অবস্থায় বুধবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে তারা গ্যাসের মেইন লাইন থেকে পৌর কাঞ্চন পৌরাঞ্চলের ৫ হাজার সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন রূপগঞ্জ সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম উদ্দিনসহ তিতাসের কর্মকর্তা ও পুলিশ সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।
আবাসিক গ্যাসের বৈধ গ্রাহক স্থানীয় কাউন্সিলর মফিকুল ইসলাম খান ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমরা কাঞ্চনের ৫ শতাধিক বৈধ গ্রাহক বিগত ১০ বছর যাবত নিয়মিত বিল পরিশোধ করে গ্যাস ব্যবহার করে আসছি। এখন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযান করতে এসে এ এলাকায় যে সকল গ্যাস সংযোগ রয়েছে সেগুলোও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অবৈধ গ্রাহকদের কারনে আমরা কেন খেসারত দিবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবৈধ এক গ্রাহক বলেন, আমরা গ্যাস সংযোগ নেবার সময় সংযোগ প্রতি ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দিয়ে তবে সংযোগ পেয়েছি। সে সময় রূপগঞ্জের এমপি আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি যতো দিন ক্ষমতায় আছেন ততোদিন কেউ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। কিন্তু তিতাস কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন করে দিয়েছে। এখন সেই নেতাকর্মীদের খোজে পাইতেছিনা।
এ বিষয়ে তিতাসের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামউদ্দিন বলেন, বৈধ গ্রাহকের চেয়ে অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি বৈধ গ্যাস সংযোগ লাইন থেকে বিপুল পরিমানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এ কারনে মেইন লাইন থেকে সকল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। পরে বৈধ গ্রাহকদের যাচাই বাছাই করে তাদের পুনরায় সংযোগ দেয়া হবে। এজন্য বৈধ গ্রাহদের অবশ্যই গ্যাস বিল সম্পূর্ন পরিশোধ থাকা লাগবে।