নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে একটি তিনতলা ভবনে বিকট শব্দে গ্যাস বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ও তিতাস গ্যাস কোম্পানির পক্ষ থেকে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাড়ির মালিক রাবেয়া আক্তার মিলিকে আসামীকে করে মামলা দুটি করেন তারা।
৩০৪/৩৩৮ পেনাল কোড ১৮৬০ অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ নিয়ে অবহেলা ও তাচ্ছিন্নপূর্ণ ভাবে ব্যবহারের ফলে গ্যাস ফিস্ফোরিত হয়ে মৃত্যু ঘটনা ও গুরুতর জখমের অপরাধে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক রোকনুজ্জামান।
১২ (১) ২০১০ সালের বাংলাদেশ গ্যাস আইন, অবৈধ ভাবে গ্যাস লাইন স্থাপন করে গ্যাস চুরি করার অপরাধে তিতাস গ্যাস কোম্পানির পক্ষ থেকে মামলা করেন তিতাস গ্যাস কোম্পানির আবিবি সোনারগাঁও (জোবিঅ-সোনারগাঁও) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মিজবাহ উর রহমান।
এর আগে, গত (২২ এপ্রিল) ভোর সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় তিতাস গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে তিন জন পোশাক কারখানার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ছয় জন। তিতাস গ্যাসের হাই-প্রেসার পাইপ লাইন থেকে নেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারনেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে।
এদিকে, দুটি মামলার অভিযুক্ত আসামী রাবেয়া আক্তার মিলিকে গ্রেফতারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, মামলাটির তদন্ত নিয়ে আমি এগুচ্ছি। হয়তো এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরো কিছু তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। সময় সাপেক্ষে তা প্রকাশ করা হবে।
নিহতরা হলেন, মেহেরপুর জেলার মজিবনগর থানার কোমরপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে শামিম (৩০), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়া এলাকার রহিম বিশ^াসের ছেলে হেলাল বিশ্বাস ওরফে রাকিব (২৫) ও পিরোজপুর জেলার শরুফকাটি থানার শারেংকাঠি এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম।
নিহত তিন জনই স্থানীয় নেক্সট এক্সোসরিস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গুরুতর আহত লিয়াকত ও আরিফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিয়টে ভর্তি রয়েছেন।