রূপগঞ্জে খেয়াঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জের ক্রাইমজোন হিসাবে পরিচিত কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড় বস্তি। গত কয়েকদিন ধরে চনপাড়া বস্তির ৬নং চণপাড়া অফিস ঘাট (খেয়াঘাট) দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চনপাড়া। গত কয়েকদিন ধরে খেয়াঘাটের মাঝিদের সঙ্গে বজলুর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ সময় উভয়পক্ষের লোকজন দফায়-দফায় মিছিল বের করে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত বুধবার থেকে আজ ১৭ই এপ্রিল শনিবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় বেশ কয়েকবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ, মিছিল- পাল্টা মিছিল, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, গত কয়েকমাস আগে শীতলক্ষ্যা নদীর চনপাড়া-নোয়াপাড়া খেয়াঘাটের ৪০ টি নৌকা চলাচল করে বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ট্রলার চালু করে বজলুর রহমান বজলু। খেয়াঘাটে নৌকা বন্ধ করায় ৮০ জন মাঝি বেকার হয়ে যায়। নৌকা চলাচলের দাবী জানিয়ে নৌকার মাঝিরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানান।

গত বুধবার নৌকার মাঝিরা একত্রিত হয়ে নৌকা চলাচলের পদক্ষেপ নেয়। এ সময়  নৌকার মাঝিদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসী নৌাকা চলাচলের জন্য তাদেরকে সহায়তা করেন। পরে বজলুসহ তার লোকজনের সঙ্গে মাঝিদের বাক বিতন্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফের শনিবার দুপুরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও খেয়াঘাটের মাঝিরা উত্তেজিত হয়ে বজলুর বিরেুদ্ধে মিছিল বের করলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে নৌকার মাঝি খলিল মিয়া বলেন, আমারা এখানে ৮০ জন মাঝি ৪০টি নৌাকা চালাই। নৌকা বন্ধ করে ইঞ্জিনের ট্রলার চালু করে বজলু মেম্বার। আমাদের ৮০টি পরিবার না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। মাঝিরা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন বজলু মেম্বারকে প্রতিটি নৌাকা থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। এ টাকা না দিলেই সে ট্রলার চালু করে দেয়। এ ব্যাপারে বজলুর রহমান বজলু বলেন, প্রতিদিন নৌকা প্রতি ৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। জনগণের পারাপারের সুবিধার্থে ট্রলার চালু করা হয়েছে।

রূপগঞ্জ থানর ভারপ্রাপ্ত ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত