নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। ভেলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ধর্ষকের পরিবারের কোছ থেকে দেড় লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে ধর্ষনের আলামত নষ্ট করার জন্য ৫ দিন ধরে তাদেরকে ঘুরাচ্ছেন। ধর্ষক ইব্রাহিম মিয়া তার প্রভাবশালী পিতা ও পরিবারের সন্ত্রাসী হামলা থেকে বাচঁতে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে কাফনের কাপড় পড়ে আশ্রয় চাইল ধর্ষিতার পরিবার। শুক্রবার দুপুরে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে ধর্ষিতার পরিবার কাফনের কাপড় পড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। বর্তমানে ধর্ষক ও তার পরিবারের হুমকি ধামকির কারণে ধর্ষিতা ও তার পরিবার গ্রাম ছাড়া।
ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী কাঞ্চন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত দেড় বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ কেরাব এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের গড়ে তোলেন। গত ১ বছর ধরে লম্পট ইব্রাহিম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিনিয়ত শারিরিক সম্পর্ক করত। গত বেশকিছুদিন ধরে শিক্ষার্থী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ইব্রাহিম মিয়া বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। পরে ওই শিক্ষার্থী ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে সে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে।
পরে ১৯ এপ্রিল রাতে ইব্রাহিম মিয়া শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পাশে দেখা করতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী কথা মতো বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে দেখা করতে গেলে ইব্রাহিম মিয়া তার দুই বন্ধুর সহযোগীতায় তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। ওইদিন রাতে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধর্ষক ইব্রাহিম ও তার বাবা কবির হোসেন ও মা লিপি বেগমকে বিষয়টি জানালে তারা ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ধর্ষিতা শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একই এলাকার কবির হোসেনের লম্পট ছেলে ইব্রাহিম মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ধর্ষক ইব্রাহিম ও তার বাবা কবির হোসেনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ ধর্ষিতার পরিবারের। ধর্ষক ইব্রাহিম ও তার বাবা কবির হোসেন তাদের পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে। ধর্ষক ও তার প্রভাবশালী পিতার হুমকির মুখে গ্রাম ছাড়া ধর্ষিতা ও তার পরিবার। শুক্রবার সকালে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে ধর্ষিতার ও ধর্ষিতার পরিবার কাফনের কাপড় পরে ধর্ষণের বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।
ধর্ষীতার চাচা আল- আমিন জানান, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচীর পর বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদেরকে আর কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ধর্ষীতার চাচা এমন শঙ্কা করছেন ধর্ষনকারীর পিতা কবির হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন তাদের হত্যা করার উদ্দ্যেশ্যে অপহরন করে নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার সেল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগরে বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, কেউ উৎকোচ খেয়েছে এমন এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে র্ধষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারীর পরিবার পরে খোজঁ না নেয়ায় বিষয়টি জানেন না। এছাড়াও আমরা তদন্ত করছি। আইন অনযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাাড়াও প্রকৃত ঘটনা আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি ওই মেয়ের সাথে অভিযুক্ত ছেলের সাথে আগে প্রেম ছিল।