নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার সমর্থকরা অপর প্রার্থীর সমর্থক জাহাঙ্গীর মিয়া (৪০) কে রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নিহতের মামী মাসুদা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুইয়াকে প্রধান আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শাহজাহান ভুইয়াসহ মুড়াপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জাব্বার মেম্বার, মতি, কাজল, আউয়াল, মিলনসহ ৩৪ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (ওসি/তদন্ত) এবিএম মেহেদী মাসুদ নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে জানান, গত সোমবার রাতে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল জাব্বার মেম্বারসহ তার লোকজন প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের সমর্থক জাহাঙ্গীর মিয়াকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ এনে মাসুদা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফয়সাল মিয়া, মিলন মিয়া, সুমন মিয়া ও আউয়াল নামে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান ভুইয়া বলেন, আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করতে একটি পক্ষ আমাকে মামলায় জড়িয়েছেন।
অপর দিকে, বুধবার বিকালে নিহত জাহাঙ্গীর মিয়ার জানাযা শেষে মঙ্গলখালী সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। জানাযায় অংশ গ্রহন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক, আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ, ব্যারিষ্টার আরিফুল হক ভুইয়া, মনজুর হোসেন ভুইয়া, আবুল হোসেন খাঁন ও প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছসহ তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল জাব্বার মেম্বারসহ তার কর্মী সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বড়ভিটা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়া (২৫), রজব আলীর ছেলে রাজু মিয়া (২২), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৭) ও ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়া (৪০) কে বেঁধে রেখে রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আব্দুল জাব্বার বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর মিয়া মারা যান। নিহত জাহাঙ্গীর মিয়া বড়ভিটা এলাকার ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে।