রিমান্ডে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে আসামীর দুই স্ত্রীকে র্ধষন করল পুলিশ ও দুই সোর্স

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্দিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সিদ্দিরগঞ্জ থানার একটি ডাকাতি মামলায় রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে অবশেষে দুই আসামীর দুই স্ত্রীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ লুটে নিয়েছে একজন এস আই ও তার দুই সোর্স। এমনই অভিযোগ করেছে আসামির বাবা ও দুই স্ত্রী। জানা যায়, স্বামীকে রিমান্ডে মারধরের নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে আসামীদের দুই স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।  বুধবার রাতে এই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

ওই আসামির আইনজীবী জানিয়েছেন, দুই নারী বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আতাউর রহমান ও তাঁর দুই সোর্স নজরুল ইসলাম ও শুভ। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ডাকাতি মামলায় রিমান্ডে রয়েছে ওই আসামি। এদিকে মামলা করতে বললেও পুলিশের ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না  তারা। পাশাপাশি তারা খুব গরীব বলে জানান।

ওই আসামির বাবা ও দুই স্ত্রী জানান, রিমান্ডে নেওয়ার পর রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাশে এসআই আতাউর রহমানের সোর্স নজরুল ইসলাম ও শুভ তাঁদের ফোন করে বলে, আসামিকে রিমান্ডে মারধর করা হবে না। এ জন্য স্যারের সঙ্গে দেখা করে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় দুই নারী থানার অদূরে গেলে নজরুলের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। দেনদরবারের একপর্যায়ে ছয় হাজার টাকাও দেন দুই স্ত্রী। কিন্তু বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ভয় দেখিয়ে দুই সোর্স দুই নারীকে ধর্ষণ করে। এরপর বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আতাউর ওই বাসায় গিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করে।

অন্যদিকে এসআই আতাউর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ডাকাতি মামলা হওয়ায় বিষয়টি সাজানো হতে পারে বলে মনে করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এসআই আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। আমার সঙ্গে কারো কোনো কথা কিংবা লেনদেনের আলাপ হয়নি। তবে নজরুল ও শুভ  আমিসহ আরো পুলিশের পক্ষে সোর্স হিসেবে কাজ করে।

সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি সারাফতউল্লাহ জানান, বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দেখছি। অপরাধী যেই হোক আমরা ব্যবস্থা নিব।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ডিএসবি)  ফারুক হোসেন জানান, অভিযোগটার বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো। এবং আইন অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।

প্রসঙ্গত, এবার পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পূর্বে নগরীর সদর মডেল থানা এলাকায় পুলিশ কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পার হতে না হতেই সিদ্দিরগঞ্জে ঘটে পুলিশ কর্তৃক আসামী ধর্ষনের নেক্কারজনক ঘটনাটি। পুলিশের কিছু অসাধু, অপেশাদারিত্ব, অসামাজিক ব্যাক্তির কাজের জন্য বদনামের অংশিদার হচ্ছে আমাদের স্বনাম ধন্য এই নিরাপত্তা বাহিনীটি। আর এতে করে জন সাধারনের মধ্যে ক্রমান্নয়েই সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ। আর  হ্রাস পাচ্ছে পুলিশের সাথে জন সাধারনের বিশ্বস্ততার সম্পর্ক।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত