রাশিয়ার সফর শেষে ফিরলো নারায়ণগঞ্জের ক্ষুদে ফুটবলার রাব্বী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ক্রীড়া প্রতিবেদক ) : অবশেষে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের সফর শেষে দেশে ফিরলো ফুটবলের ক্ষুদে যাদুকর গোলাম রাব্বী। সম্ভাবনাময় এ ফুটবলারের জন্ম নারায়ণগঞ্জ মদনগঞ্জের একটি অস্বচ্ছল পরিবারে হলেও বিত্ত-বৈভবে বেড়ে ওঠা পরিবারের সন্তানরা যা না পেরেছে রাব্বী তার চেয়েও অভবনীয় গৌরব দেশের জন্য বয়ে এনেছে। রাব্বীর এ সফর অনেকটা ওয়ার্মআপের মতোই বলা যায়। দেশের বাইরে গিয়ে নানা বর্ণের নানান রকমের সমবয়সী কিশোরদের মিলনমেলায় অংশ নেয়া এ এক বিরল অভিজ্ঞতা। ৮দিনের সফরে ক্ষুদে এ ফুটবলার অভিজ্ঞতা আর আনন্দ যা-ই পেয়েছে বিশ্বতারকা দিয়াগো ম্যারাডোনার সংস্পর্শে যেতে না পারার গ্লানি তাকে বার বার তাড়িয়ে বেড়ায়।

তার মতে, এতো কাছে পেয়েও দিয়াগো ম্যারাডোনার সান্নিধ্য না পাওয়ার বেদনা সফরের কোথায় যেন অপূর্ণতা থেকেই গেলো। তবে ৬৪টি দেশের অনুর্ধ্ব ১২-১৪ বছর বয়সী ফুটবলারদের সফরে আর যাই হোক রাব্বী ছিল সবার মুখে মুখে। আসরে আগত সবাই যেন রাব্বীকেই আপন করে নিয়েছিল। সবার মুখে একটাই নাম ছিল রাব্বী রাব্বী আর রাব্বী। মায়াবীয় চেহারার অধিকারী রাব্বীকে সবাই আদর করেছে ভীষনভাবে। রাব্বীর ক্রীড়াশৈলী অংশগ্রহণকারী দেশের খেলোয়ারদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। মাত্র কয়েক দিনের এই সফর রাব্বীর জীবনে অনেক সহায়ক ভূমিকা পালণ করবে। রাশিয়ার পিটার্সবার্গের ঐতিহাসিক কিছু ইতিহাস ঐতিহ্য ঘুরে দেখা এবং বিশ^ সেরা খেলোয়ারদের সঙ্গে সময় কাটানো এই সফরে এরচেয়ে বড় পাওয়া তার কাছে আর কিছুই হতে পারেনা। তার উপরে আবার জার্মানি-চিলির মধ্যকার কনফেডারেশনস কাপের ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ যেন স্বপ্নে পাওয়া একটি মুহুর্ত।

বিদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দেশের জন্য অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনাই রাব্বীর প্রত্যাশা। ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত গাজগম ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস সোশ্যাল ফুটবল ফ্রেন্ডশিপ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া রাব্বী এক প্রতিক্রিয়া সে জানায় সবাই একসঙ্গে প্র্যাকটিস করেছি। মজা করেছি। এটাই সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে। রাশিয়ায় গিয়ে ভাত না খেয়ে বিরিয়ানি খেতে তার ভালো লাগার কথাগুলোও তার প্রতিক্রিয়ার ফুটে উঠেছে। তবে দেশের বাইরে গিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতাসমূহ যদি রাব্বী কাজে লাগাতে সক্ষম হয় তাহলে এখানেই আজকের রাশিয়া সফরের স্বার্থকতা হবে বলে ফুটবলাঙ্গনের বোদ্ধারা মনে করছে। এদিকে দেশে ফিরতেই রাব্বীকে নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা তার নিজ এলাকাবাসী। বাড়িতে পা না রাখতেই অভ্যর্থনা জানাতে তাকে ঘিরে ফেলে সবাই। কেউ করমর্দন কেউবা ফুলেল অভ্যর্থণা জানাতে ছুটে আসে তার কাছে। ক্ষুদে ফুটবলাররাও তার সঙ্গে যোগ দেয় ফটোসেশনে।

add-content

আরও খবর

পঠিত